সমাবেশ থেকে হাসপাতালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0
159

টাইমস ডেস্ক:
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সাংবাদিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে সমাবেশ চলাকালে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপর অসুস্থতা নিয়েই চেয়ারে বসে তিনি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বক্তব্য শেষ পর্যায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বেশি অসুস্থ বোধ করলে নিজস্ব গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সমাবেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সেসব তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিন। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনারই লাভ হবে। দেশের লাভ হবে। দেশ-গণতন্ত্রের দিকে প্রসারিত হবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা খেয়াল করেছেন- গতকাল (গত রোববার) প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে আহ্বান করেছেন কোনো প্রকার ইয়োলো (হলুদ) সাংবাদিকতা যেন না হয়। কিন্তু ইয়োলো জার্নালিজম (হলুদ সাংবাদিকতা) তো আপনি সৃষ্টি করছেন প্রধানমন্ত্রী। মনে রাখতে হবে সাংবাদিকরা হলেন- সত্য অনুসন্ধানী, সবসময় সত্য প্রকাশ করে। আপনার সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো সাংবাদিকরা। তারা প্রকৃত তথ্যকে আপনার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাংবাদিকদের কণ্ঠ যখনই রোধ করেন তখনই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। সরকারের ভুল নীতি দেশকে বাধ্য করছে একটা ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য’ যোগ করেন তিনি। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকেই তাকে মুক্তি দিন। সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়ে বলেন- সত্য কথা বলুন, সত্য প্রকাশ করুন। তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। আর নাহলে ক্রমেই দেশ জঙ্গিবাদের দিকে যাবে। এর দায় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নিতে হবে। তিনি বলেন, আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্মিলিতভাবে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাকোয়াত, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জিনাফের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। এদিকে বক্তব্য দেয়ার আগেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে তিনি দুর্বলতা অনুভব করলে বসেই বক্তব্যে দেন। বক্তব্য শেষে তিনি দ্রুত ধানমন্ডি নগর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যাওয়ার পর প্রফেসর ডা. নজিব মোহাম্মদ তার শারীরিক চেকআপ করার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুকে বলেন, লো প্রেশার হওয়ার কারণে তিনি শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে বিশ্রামে পুরোপুরি সুস্থ আছেন।