সমাগত কাউন্সিল, প্রস্তুত ৯ নং ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা।

0
280

খুলনাটাইমস ডেস্ক:
আয়তন ও ভোটার সংখ্যার দিক দিয়ে খালিশপুরের সর্ববৃহৎ ৯ নং ওয়ার্ড। নি¤œ,মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেনি পেশার মানুষের চমৎকার মিশেলে পরিবেষ্টিত অত্র ওয়ার্ডের সকল কর্মী দলের নিবেদিত প্রাণ।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ কাউন্সিল না হওয়ার কারনে সাংগঠনিক কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে পিছিয়ে নেই একটুও এমনটাই জানাযায়। আগামী কউিন্সিল নেতা কর্মীদের মাঝে পূর্ণদ্যমে কাজ করার মানসিকতা যোগাবে এমন কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ক্ষন গননা শুরু করে দিয়েছেন।
এস এম খসরুল আলম। ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি। তিনি তার চলমান দায়িত্ব পুনরায় ফিরে পাবার আশায় এবারেও একই পদে প্রার্থী হচ্ছেন। তৎকালীন স্বৈর শাসক এরশাদ ,খালেদা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বহু আন্দোলনের নের্তৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। সুদীর্ঘ রাজনীতি জীবনে পরীক্ষিত এই নেতা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেন নি বলে মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত এই সৈনিক শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মানসে সর্বদা সচেস্ট। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পূর্বের মতো আগামী দিনেও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাদেরকে সংগঠিত রাখবেন তিনি।
মোল্লা হায়দার আলী। তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক। আগামী কাউন্সিলে তার চলতি পদেই প্রার্থী হবেন। ছাত্ররাজনীতির মধ্যদিয়ে শুরু করা বণ্যার্ঢ রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোন মোহের দিকে না ছুটে সংগঠন,কর্মী-সমর্থকদের খুব কাছেই থেকেছেন তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গি হয়ে। তিনি কখনো নিজেকে বড় কোন কিছু ভাবা থেকে বিরত থেকেছেন আজীবন এমন মন্তব্যই করেন। অতীতে দলের দূর্দিনে রাজপথের সকল আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিলো চোঁখে পড়ার মতো। কর্মীদের কাছে তিনি দাবী করেন যোগ্যতার ভিত্তিতে তারা যেন তাদের আগামী দিনের নেতা নির্বাচন করেন।
মোঃ এনামুল হক বাবলু। দীর্ঘ ১৭ বছর খালিশপুর থানা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়কের গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন অত্যন্ত ধৈর্য্য,মেধা,সাহসিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে। এবারের কাউন্সিলে তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে প্রার্থী হতে চান। আওয়ামী ঘরানার পরিবার হওয়ার সুবাদে পরিবার থেকেই রাজনীতির চর্চা শুরু করা এই নেতা একাধারে ঠিকাদার,সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী। তিনি মনে করেন দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে ডিটেনশন থেকে মুক্তি তার রাজনৈতিক জীবনের পরম পাওয়া। তিনি বিভিন্ন সময়ে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানান। ৮৮’তে এরশাদ,৯৬’তে খালেদা বিরোধী আন্দোলন ছাড়াও দলীয় সকল আন্দোলনে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দেয়ার কারনে ২৫টিরও বেশি মামলার শিকার হওয়া সহ গুলিবিদ্ধও হয়েছেন বলে জানান। তিনি বিশ্বাস করেন নিজ বা বিরোধী দলের মতাদর্শি কেউই তার প্রতি বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করেন না। যে কারনে কর্মীরা তাকে আগামীদিনে নির্বাচিত করবেন তাদের প্রতি এই আস্থা রাখেন বলে জানান।
শেখ বাবুল হোসেন। তিনি বর্তমান ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য। আসছে কাউন্সিলে তিনি সভাপতির পদপ্রার্থী হবেন বলে জানান। স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এই নেতা দলের দূর্দিনে রাজপথে ছিলেন আছেন থাকবেন বলে জানান। আগামীতে দলের নেতা কর্মীদের সু-সংগঠিত রাখতে দলীয় হাই কমান্ডের সকল নির্দেশ পালন করতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সদা প্রস্তুত এমন মন্তব্য করে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,যদি কর্মীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে তাকে দায়িত্বভার তুলে দেন তাহলে তাদের সেই প্রত্যাশার প্রাপ্তি তিনি ঘটাবেন।