নাব্যতা সংকটের কারণে শুক্র ও শনিবার দুই দিন শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে আর কোনও যান ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৫ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক যানবাহন।
শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাপরিচালক সৈয়দ শাহ বরকত উল্লাহ খুলনা টাইমসকে জানান, নদীতে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট এবং এর কাছের নতুন চ্যানেলেও একই সমস্যায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আর যতটুকই সীমিত আকারে চলছিল ড্রেজিংয়ের কারণে চ্যানেলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তাই ঝুঁকি এড়াতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং চলছে। চ্যানেল ফেরি চলাচল উপযোগী হলেই ফের ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে কখন আবার চালু হবে তা নিশ্চিত করেননি বরকত উল্লাহ।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আরমান হোসেন জানান, নতুন করে আর কোনও যান ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যে শতাধিক যান বিশেষ করে ট্রাক আটকা পরেছে সেগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া পানি কমে যাওয়া লৌহজং চ্যানেলে ড্রেজিং চললেও ফেরি প্রবেশ করতে পারছে না। তাই শুক্র ও শনি এই দুই দিন ফেরি একেবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবার থেকে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আরমান হোসেন।
