শত্রুতায় কৃষক রুহুল আমিন ও দেলোয়ারের আড়াই লক্ষাধিক টাকার ফসল ও পাতা বিনষ্ট

0
235

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ক্ষেতে ও ঘেরে বিষ দিয়ে ও বোরে ইট দিয়ে কৃষক রুহুল আমিন ও দেলোয়ারের আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে, আশাশুনি সদরের সীমান্তবর্তী চাম্পাফুল গ্রামে। জানাগেছে, চাম্পাফুল গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে রুহুল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ তার কিছু জমিতে সবজীচাষসহ নানা ফসল চাষাবাদ, মৎস্য চাষ করে সংসার নির্বাহ করে আসছেন। শরীকের মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী রঞ্জুনা খাতুন ও ছেলে রায়হান জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফসল নষ্ট ও ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে জব্দ করার হুমকী দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে ১৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তারা রুহুল আমিনের বাড়ি সংলগ্ন ২ বিঘা জমির ফসলে এবং পাশের বিলান ২ ও ২ মোট ৪ বিঘা জমির মাছের ঘের ও বীজতলায় বিষ প্রয়োগ করেন প্রতিপক্ষ ও তাদের সহযোগিরা। পরদিন সকালে তারা দেখতে পান বিষক্রিয়ায় জমির বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, বিটকপি, ঝাল, বেগুন, আলু, পেয়াজ ও ৫০ কেজি ধানের পাতা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক চেষ্টা তদবীর করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। একসাথে তার দু’টি পানি ওঠানোর বোরে ইটের টুকরো দিয়ে বন্ধ ও পাইপ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে তার ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই রাতে প্রতিবেশী মোস্তফা সরদারের ছেলে দেলোয়ারের ক্ষেতের ২৫ কেজি ধানের পাতা ও পানি ওঠানোর বোর নষ্ট করে ৬০ সহস্রাধিক টাকার ক্ষতি করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার মানুষ বিষে নষ্টক্রিয়া দেখেছেন। ইতিপূর্বেও তারা রুহুল আমিনের মৎস্য ঘেরে ৩ বার বিষ দিয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এমনকি তারা কৃষক পরিবারকে নানাভাবে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে তারা জানান। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোরঞ্জন সরদার জানান, ক্ষেতে ফসল দেখে ধারনা করা হচ্ছে আগাছা নাশক দিয়ে ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এসআই গোবিন্দ কুমার ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।