মোড়েলগঞ্জে ৫৬ টাকার পিয়াজ ১শ’ টাকা, ক্রেতারা দিশেহারা

0
623

এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ থেকে॥
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পিয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে পিয়াজের মূল্য দ্বিগুন। বর্তমান বাজারে দেশী পিয়াজ ১১০ টাকা কেজি, আর ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা কেজি দরে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষজনের এখন নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা।
রমজান ও ঈদুল আজহায় যে দেশী পিয়াজ ছিলো ৪০ টাকা কেজি, ভারতীয় পিয়াজ ছিলো প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশী পিয়াজের মূল্য নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। শুলেকর জন্য ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়লেও দেশী পিয়াজের কেন দাম বাড়ছে। প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ দিনমজুর শ্রেনীর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

এ ছাড়া পিয়াজের বাড়তি দামের সুফল পুরোটাই নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কৃষকের তাতে বাড়তি কোন লাভ হচ্ছেনা বলেও মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে মোরেলগঞ্জ বাজারে কাচাবাজার ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পিয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। বরিবারও যে পিয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫/৭০ টাকা করে সে পিয়াজ এখন কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা করে। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছে ১১০ টাকা প্রতি কেজি।
কথা হয় খুচরা বিক্রেতা বাবুল মোল্লার সাথে তিনি জানান, বাজারে এ রকম অবস্থা বিরাজ করলে আরো দাম বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজিম ভান্ডারের মালিক ওহাব মৃধা ও মা বাবার দোয়া ভান্ডার আব্বাস উদ্দিন হাওলাদার জানান, ভারতীয় সোনা মসজিদ, ভোমরা ও হিলি বন্দর থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কবে নাগাত এ সমস্যার সমাধান হবে কিছুই জানা নেই তাদের। এ রকম কথা হয় মের্সাস হাসিব স্টোরের মালিক বেল্লাল হোসেন বাবুল জানান, রবিবার বিকেল থেকেই খুলনা বন্দরে পাইকারি বাজারে ১শ’ টাকা দরে পিয়াজ কিনে আনতে হয়েছে তাদের। এখন খুচরা দরে কত বিক্রি করবো?।
এদিকে ক্রেতা পৌর শহরের মহিউদ্দিন শিকারি, বারইখালী গ্রামের মো. জাহিদ শেখ ও গুলিশাখালী গ্রামের বিপ্লব শেখসহ একাধিক ক্রেতারা হতভাগ তারা বলেন, যে পিয়াজ গত সপ্তাহ কিনেছি ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি। আজকে এক ধাপে বেড়ে দ্বীগুন হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রনে দেখার কি কেউ নেই। এরকম প্রশ্ন তোলে সংবাদ কর্মীদের সামনে।

এ সর্ম্পকে বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, হঠাৎ পিয়াজের দাম বৃদ্ধি এ অবস্থা সারাদেশে বিরাজ করছে। তবে যদি কেউ মজুদদারি করে সিন্ডিকেটের সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।