মোড়েলগঞ্জে পুটিখালী টু সোনাখালী ১কিঃ মিটার ইট সলিং রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ

0
384

সৈয়দ বাদশা হোসেন :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পুটিখালী টুসোনাখালী ১ কিলোমিটার ইট সোলিং রাস্তা সএরাকার মানুষের মরণ ফ*াদে পরিনত হয়েছে,জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে ওই রাস্তাটি কার্পেটিংএর বরাদ্ধ হলেও অজ্ঞাত কারনে কাজটি স্থাগিত রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সরেজমিনে পরিমাপ করলেও এখনও শুরু হয়নী বরাদ্ধ কৃত ওই এক কিলোমিটার রামÍার কার্পেটিং এর কাজ।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের পুটিখালী হয়ে সোনাখালী অভিমুখী ইট সোলিং রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় যাতাযাতে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে, খানা খন্দে পরিনত হয়েছে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানা খন্দে পানি জমে পথচারি, শিক্ষার্থী, ভ্যান, ইজিবাইক, সাইকেল চলাচলে দুর্ভোগের অন্ত নেই ওই রাস্তাটিতে।
এক সময়ে ইউনিয়নের প্রাচীন জনপদের প্রাণকেন্দ্র ছিলো এ রাস্তাটি। বিভিন্ন গ্রামের যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে এই রাস্তাটির সাথে এ ছাড়া এই ইউনিয়ন ছাড়া পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের যোগাযোগের জন্য জনগুরুত্বর্পূন এ রাস্তাটি। প্রতিদিন ৩টি বাজার ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ, মন্দিরের কয়েক হাজার লোকসহ এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলে পড়–য়া শিক্ষার্থী ও ব্যাবসায়ীরা যাতায়েত করে। এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে চক পুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাখালী আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, পুটিখালী ইসলামীয়া (আলিম) মাদ্রাসা, সোনাখালী মহব্বত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাখালী মহসিনিয়া আলীম মাদ্রাসা ও সোনাখালী বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। এ ছাড়াও মঙ্গলের হাট বাজার, সোনাখালী বাজার, ভাটখালী বাজার, দু’ পাড়ে ৬টি মসজিদ, একটি মন্দিরসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র বরাদ্ধকৃত এ রাস্তাটির কাজ পুর্নরায় চালু করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয় পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, ১ কিলোমিটার কাপেটিং এ রাস্তাটি নির্মানের জন্য ইতোপূর্বে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডা. মোজাম্মেল হোসেন বরাদ্ধ দিয়েছেন। উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার এসে কয়েকবার পরিমাপ করে গেছে। পরবর্তীতে কাজের আর কোন অগ্রগতী নেই।
কথা হয় ভগ্নদশা এ রাস্তাটি থেকে প্রতিদিনের ন্যায় চলাচলের একাধিক পথচারি ব্যবসায়ী মনির দর্জি, হাসান হাওলাদার, শিক্ষক জাহিদুর রহমান, মাওলানা সুলতান আহম্মেদ, জলিল হাওলাদার, ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা ও ১০ম শ্রেণীর মিম আক্তার বলেন, এ দুর্ভোগ শেষ হবে কবে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়েত করতে হয় সকলের। অনেকদিন থেকে শুনে আসছি এ রাস্তাটি কার্পেটিং হচ্ছে। আর কত অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের।
এ ব্যাপারে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশিক ইয়ামিন বলেন, পুটিখালীতে ১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি বরাদ্ধ অনুযায়ী পরিমাপ নির্ধাতির হয়েছে। কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন টেন্ডারের অপেক্ষায়। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে কাজ শুরুর সম্ভাবনা আছে।