মুজিব বর্ষে খুলনার ৮শ’ ৬৬ গ্রাম শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে

0
251

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জেলার ৮শ’ ৬৬ টি গ্রাম শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। ইতোমধ্যেই ৮৪৫টি গ্রাম পল্লী বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। বৈদ্যুতিক লাইনের তার চুরি, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিল অনাদায়ী উন্নয়নের পথে অন্যতম অন্তরায়। শুরু থেকে গত ১৯ বছরে ৩ লাখ ৩হাজার ২শ’ ৬৮ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। ২০০১ সাল থেকে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরতলীর ঠিকরাবন্দে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমিতির ১৯তম বার্ষিক সদস্য সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সভায় বলা হয়- ৫০ কিলোওয়াট লোড সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। খুলনা জেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা, ঘাটতি নেই। লোডশেডিং হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে। ডিসেম্বর থেকে বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৬৭২ জন কৃষককে সেচ সুবিধার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। জেলায় ১৯ হাজার ৬৬২ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাজুয়া, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চুকনগর, মিকিশিমিল, শাহপুর, কপিলমুনি, কয়রা, দিঘলিয়া, তেরখাদা ও হাতিয়ারডাঙ্গায় অভিযোগ কেন্দ্র চালু রয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারনে মহিলাদের আয় ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় নারীর ক্ষমতায়ন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি খুলনা বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ আলী আফজাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় অংশ নেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) এস এম কামাল হোসেন, খুলনার জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন। হিসাব বিবরনী তুলে ধরেন সমিতি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ এস এম মঞ্জুরুল আলম। অনুষ্ঠানে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(এলএ) মোঃ ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন এ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এমএস) প্রকৌশলী মোঃ সাঈদ হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এলাকা পরিচালক শেখ মাহমুদুল আলম, মোড়ল মাহমুদ আসলাম, এস এম মঞ্জুরুল ইসলাম, মানষ কুমার রায়, মোসলেমা খানম, সরদার সুবেহ সাদিক, লাইজু সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।