বীমা দিবস ১ মার্চ

0
268

খুলনাটাইমস ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা কোম্পানির চাকরিতে যোগদানের তারিখ, অর্থাৎ ১ মার্চকে ‘বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১ মার্চকে বীমা দিবস ঘোষণা এবং দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বীমা দেশের একটি ‘সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপর্ণ’ আর্থিক খাত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর দেশীয় বীমা শিল্প সৃষ্টি হয় এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২, দ্যা ইনস্যুরেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর মত বীমা সংশ্লিষ্ট মৌলিক আইন প্রণীত হয়।
এ খাতের ব্যপ্তি বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বর্তমান সরকারও এর আগে বীমা মেলার আয়োজন, দেশব্যাপী বীমা সম্পর্কিত সভা, সেমিনার, শোভাযাত্রার মত আয়োজন করেছে।“এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে বীমার বিস্তৃতি, জনসম্পৃক্ততা তথা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় বীমা নীতিতেও জাতীয় বীমা দিবস পালনের কথা বলা হয়েছে।”
প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিশেষ অনুরোধ করেছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রস্তাব ছিল ২ বা ৩ মার্চ (বীমা দিবস) করার, কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। এটার সঙ্গে একটা ঐতিহাসিক দিনের সংযোগ আছে। এই দিনে (১ মার্চ) অন্য কোনো দিবস থাকলে সেটি শিফট করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এবং তা করেও দেওয়া হয়েছে।”
এতদিন ১ মার্চ ভোটার দিবস হিসেবে পালন করা হলেও সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা ২ মার্চে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বীমা দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করার প্রস্তাব করলেও মন্ত্রিসভা তাতে সায় দেয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারির মত জাতীয় দিবসগুলো ‘ক’ শ্রেণির দিবস। আর কর্মসূচিভিত্তিক ও প্রচারণামূলক বিষয়গুলো ‘খ‘ শ্রেণিভুক্ত। সে কারণে বীমা দিবসকেও ‘খ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।