নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, সৌদি আরব ও আমেরিকা থেকে ফিরে আসা শ্রমিকেরা খুলনাঞ্চলে এইচআইভি জীবাণু ছড়াচ্ছে। আক্রান্তের তালিকায় দু’একজন হিজড়ার নাম রয়েছে। এ অঞ্চলের পতিতালয় যৌনকর্মীদের শরীরে এইচ আই ভি’র পজিটিভ পাওয়া যায় নি। এইডস এ আক্রান্ত প্রতি বছর এ অঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষিণের আট জেলায় ১৯৩ জন এইচআইভি’র জীবাণু বহন করছে।
খুলনাঞ্চলে কমরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এ প্রতিনিধির কাছে উল্লিখিত তথ্য প্রকাশ করেছে। মুক্ত আকাশের মূখপাত্র জানান, অভাবের তাড়নায় দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ কাজের আশায় বছরে তিন-চার বার ভারতে যায়। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, সৌদি আরব ও আমেরিকা থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা এ অঞ্চলে এইডস ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বেনাপোল,চৌগাগাছা ও খুলনা শহরে এইচ আই ভি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শুধুমাত্র খুলনা জেলায় ৫৩ জন পুরুষ ও ৩১ জন মহিলা শরীরে এইচআইভি জীবাণু সনাক্ত করা হয়েছে। ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল ও মাগুরায় ১০৯ জন এইডস এ আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ সংগঠনের এক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৫ ও ১৬ সালে আট জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে ১২ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে আট জন পুরুষ চার জন মহিলা। গতবছর ২১ জন পুরুষ, ১৫ জন মহিলা ও ১ জন হিজড়া নতুন করে এইচআইভি’তে আক্রান্ত হয়েছে। এ সংগঠনের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের সূত্র জানান, শুধুমাত্র খুমেকে এ বছর এইচআইভিতে নতুন আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ হাসপাতালে মারা গেছে ৩ জন। মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের সমন্ময়কারী রেহেনা বেগম এ প্রতিবেদকে জানান, উল্লিখিত দেশ থেকে আসা শ্রমিকেরা এ অঞ্চলে এইচআইভি জীবাণু ছড়াচ্ছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই ভারত থেকে ফিরে আসা। এ সংগঠনের পক্ষ থেকে এইচআইভি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। রোগীদের পুষ্টি ও ওষুধ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে । জনসচেতনতা বাড়াতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার মিছোঘোনা গ্রামে এক উঠন বৈঠক করা হয়েছে।
