বাংলাদেশ ফাইভ-জির প্রস্তুতি নিচ্ছে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

0
278

খুলনাটাইমস অর্থনীতি: দেশে পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ-জি) মোবাইল ফোন সেবা চালুর জন্য নীতিমালা তৈরি ও সার্বিক প্রস্তুতির কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সোমবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) ৫৯তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের স্বাচ্ছ্যন্দের বিষয়টি সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিচ্ছে। “ইতোমধ্যে আমাদের ফাইভ-জি ট্রায়াল করা হয়েছে। খুব দ্রুত লাইসেন্স দিতে ফাইভ-জি পলিসি ও ইকোসিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে টুজি প্রযুক্তির মোবাইল ফোন সেবা চালুর পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই ২০১৩ সালে আসে থ্রিজি। এরপর গতবছর ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় ফোরজি সেবা। দক্ষিণ কোরিয়া, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করেছে। এ প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ‘ইন্টারনেট অব থিংকস- আইওটি’, যেখানে যন্ত্র থেকে যন্ত্রে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোকেও গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশেও ফাইভ-জি সেবা চালু করতে গত ৪ অগাস্ট একটি কমিটি গঠন করে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটরগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ওই কমিশন আগামি বছরের জানুয়ারীর মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করতে পারবে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা আশা করছেন। সিটিও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ফাইভজি’র জন্য স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বৈশ্বিক সেবা তহবিলের পরিবর্তিত ধরন, ওভার দ্য টপ সেবাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ’টুওয়ার্ডস এ ডিজিটাল কমনওয়েলথ’ প্রতিপাদ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে ১৫টি সেশনের একটি বড় অংশজুড়ে ৫জি এবং সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলো থাকছে বলে মোস্তাফা জব্বার জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, উন্নয়নের অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে সফল একটি দেশের নাম। অন্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সিটিওর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই সভা নিয়মিতভাবে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই সভার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বের মাত্রা নির্ধারণ, ভবিষৎ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংগঠনের অগ্রগতি পরীক্ষা করে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক ও কৌশলগত বিষয়সমূহের পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত সুপারিশ সদস্য দেশগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রায় আড়াইশ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এবারের সম্মেলনে।