বটিয়াঘাটায় তরমুজ ক্ষেতে দু’টি গভীর নলকুপ স্থাপন: কৃষকদের মাঝে স্বস্তি

0
153

খবর বিজ্ঞপ্তি:
পানির অভাবে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গংগারামপুর এলাকার ১হাজার ২শ’ বিঘা জমিতে রোপণকৃত তরমুজ খরার কবল থেকে রক্ষার জন্য দু’টি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। শতাধিক চাষি এই নলকুপ থেকে ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন। পানি পেয়ে চাষিরা বেজায় খুশি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ২য় নলকুপটি দেবীতলা গ্রামে বসানো হয়েছে। পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রথমটি চালু করা হয়েছে গত মঙ্গলবার। নলকুপ থেকে কৃষকদের চাহিদা মতো পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই) নরকুপ দু’টি স্থাপন করে। খরার কবলে পড়ে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে তরমুজ। চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল তরমুজ বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সেচ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে তারা। তখন তাদের ফসল বাঁচাতে এগিয়ে আসছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জিকেবিএসপি। তরমুজ ক্ষেতে গভীর নলকুপ স্থাপন করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই দু’টি গভীর নলকুপটি স্থাপন করা হয়েছে। এতে কৃষকদের ফসল রক্ষা পাবে। কৃষকদের পানির একমাত্র উৎস ভরাখালী খালটি সম্পূর্ণ ভাবে শুকিয়ে যায়। ফলে তারা তাদের ফসল রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। পানি পেয়ে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নলকুপটি উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক সচীন্দ্র নাথ বিশ^াস। এ সময় বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম, লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অমরেন্দ্র্রাথ বিশ্বাস, জিকেবিএসপি প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামসুর নাহার রতœা, উপজেলার দেবীতলা গ্রামের কৃষক বনস্পতি রায়, অংশুমান রায়, রজত রায়, মো. আলিম সরদার ও রহিমা বেগমসহ এলাকার কৃষক ও কৃষানী উপস্থিত ছিলেন। এই কার্যক্রমে সহযোহিতা করেন বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।