খুলনাটাইমস ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী সারাবছর ধরে পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক মহিমা,রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মানুষের জন্য তাঁর অবদান আমরা পৃথিবীর সব দেশকে জানাতে চাই। ১ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী পালন করবো। তাই এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের দ্বিতীয় সম্মিলন ও জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য সীমা গত দশ বছরে ৪২ থেকে ২০ শতাংশে নেমে গেছে। বাংলাদেশ এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’ হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও এখন পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ-এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘উন্নতির সাথে-সাথে এদেশের দারিদ্র অনেক কমে এসেছে। আগামী পাঁচ বছরে দারিদ্র আরো ৫ শতাংশ কমাতে চাই।’ তিনি বলেন, জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান অনেক কম। এখাতে অবদান বাড়ানোর জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন,‘শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক অর্জনও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি বলেন, পৃথিবীতে সংঘাতের কারণ হিংসা, বিদ্বেষ ও অজ্ঞতা। হিংসা-বিদ্বেষ কমাতে পারলে সংঘাত দূর হবে এবং পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে। অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা ছিলেন,এটর্নি জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলম। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো এ সংঘের পুরস্কারের ক্রেস্ট ও ১ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
