ফলোআপঃ আঁগরদাড়ী রহিমীয়া হাইস্কুলের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষকের দৌঁড়ঝাঁপ!

0
234

নারী উত্যক্ত করার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় নারীকে উত্যাক্ত করার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আঁগরদাড়ী রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক মাছুমম্মেল (মাছুম) এর দৌঁড়াঝাঁপ শুরু হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রæয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবস্থরে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। এরপর থেকে আগরদাড়ী রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক মাছুমম্মেল (মাছুম) নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত মাছুমম্মেল হক (মাছুম) কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের মৃত আবু বক্কর মালীর পুত্র। প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রæয়ারি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামে এক নারীকে উত্যক্ত করায় ঘটনায় আঁগরদাড়ী রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক মাছুম্মেল (মাছুম) এর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত ইজহার দাখিল করা হয়। ঘটনায় বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী তার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার কূ-কীর্তির অভিযোগ তুলে ধরেন। এদিকে, আরার গ্রামের মৃত শাহাজুদ্দীন মালীর পুত্র এরশাদ মালী লিখিত ইজহারে জানান, (স্কুল শিক্ষক) মাসুম মালী নারী উত্যক্তকারী, এলাকাবাসীর কাছে ঘৃণ্য, একাধিকবার উত্যাক্ত করা ঘটনায় ধৃত হয়ে গণধোলই খেয়ে হাতে পায়ে ধরে আর এমন কর্ম করবে না বলে প্রতিশ্রæতি দিয়ে রেহাই পান। অভিযুুক্ত মাসুম এমন রাত নাই যে রাত্রে গ্রামের কোন না কোন বাড়িতে প্রবেশ করে কানপাতা, ঘরের পিছনে লুকিয়ে থাকেনা। ২৪ ফেব্রæয়ারি রাত্র ১১.৩০ টার দিকে সে বাদীর পুত্রবধূর ঘরের জানালা দিয়ে টর্চলাইট মেরে পুত্রবধূর অসতর্ক ঘুমন্ত অবস্থা দেখতে থাকে। চোখে লাইটের আলো পড়লে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সেও টর্চ লাইট মেরে কে টর্চ মারলো খুঁজতে থাকে। মাসুম তখন তাকে দরজা খুলে বাইরে আসতে বললে পুত্রবধূ চিৎকার করলে স্বামী এমরান হোসেন জেগে দ্রæত দরজা খুলে তাকে জাপটে ধরে। ধাক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে পালাতে থাকলে টর্চ জালিয়ে পিছু নিলেও তাকে আর ধরতে পারেননি। এ ঘটনাটি জানতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে রুনা পারভীন, এমরান, মোসলেমা, আসাদুল, সালমা, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, হাজী আঃ হান্নান, রোস্তম, ফরিদ আহমেদ, রহমত, ইলিয়াছ, তুহিনসহ বহু নারী পুরুষ জানান, অভিযুক্ত মাসুম ইতিপূর্বে এক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেম করে সমালোচনা মুখে পড়েছিলেন। তিনি প্রায়ই বার্থরুমের ছিন্দ্র দিয়ে, ঘরের জানালা ও দরজা দিয়ে উকি মারা, পুকুরের গোসলরত মহিলাদের দিকে তাকিয়ে থাকাসহ নারীদের উত্যাক্ত করে থাকেন। এনিয়ে কয়েকবার শালিস হয়েছে। কিছু বলতে গেলে তার দলবল নিয়ে মারতে যাওয়া সহ চরমভাবে শাসিয়ে থাকে। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এব্যাপারে তারা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।