পুজার সময় মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান চলবে-কেএমপি কমিশনার

0
100

শারদীয় দুর্গোৎসব-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম এঁর সভাপতিত্বে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেএমপি’র হেডকোয়ার্টার্স সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কেএমপি কমিশনার বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর উৎসবে সকল সন্ত্রাস মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, সম্পূর্ণ নিরাপদ ও উৎসব মুখর পরিবেশে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে সকল জায়গায় প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে আমরা সেখানে নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিচ্ছি। খুলনা মহানগরীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারে সেজন্য আমরা ষষ্ঠী থেকে বির্সজন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখব। এছাড়াও পুজার সময় আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান পরিচালিত হবে। একটি অসম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে সকলে সহযোগিতায় শিক্ষা, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্বভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীতে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব উপহার দিব এবং জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবো।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা; বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের খুলনা মহানগরীর সভাপতি শ্যামল হালদার; সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু এবং খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম-সহ খুলনাস্থ ডিজিএফআই, এনএসআই, র‌্যাব-৬, নৌ পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, ওজোপাডিকো ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিবৃন্দ।