পাইকগাছায় লতার হানি-মুনকিয়ায় চিংড়ি ঘের নিয়ে দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

0
365

পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছার লতায় হানি-মুনকিয়া মৌজায় চিংড়ি ঘেরের ডিডের জমি সংক্রান্ত বিরোধে অভিযোগ ও অন্যদিকে হারীর খাতায় জোরপুর্বক স্বাক্ষর সম্পর্কে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ নিয়ে গনমাধ্যমে রিপোট প্রকাশ হলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানাগেছে।
দেলুটির মাগুরা গ্রামের বৃহস্পতি মন্ডলের ছেলে বাসুদের মন্ডল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কাঁঠামারী বাজারে সমাধানের কথা বলে সম্পা ফিসের ম্যানেজার আলমগীর ও রাজিব নামে একজন জোর পুর্বক ডিডের জমি স্বরুপ হারির খাতায় স্বাক্ষর করে নেয়। এদিকে একই মৌজায় ৪ বিঘা জমির ডিড মালিক সবুর হাওলাদার অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে ঘের ম্যানেজারের সহয়তায় তার ছোট চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেঁটে বড় ঘেরে মিশিয়ে দিয়ে ক্ষয়- ক্ষতি করেছেন।
এসব অভিযোগ বানোয়াট উল্লেখ করে মুঠোফোনে সম্পা ফিসের ম্যানেজার আলমগীর জানান,বাসুদেব মন্ডল অন্যের জমি কম মুল্যে ডিড নিয়ে বিগত ২০১৭ সালে বেশি টাকায় সম্পা ফিসের অনুকুলে রেজিঃ পাওয়ারনামার বিনিময়ে ৩ বছরের জন্য মূল ডিড হস্তান্তর করেন। সংশ্লিষ্ঠরা জানান, পরবর্তীতে আবার শহিদুল হাওলাদারকে একই জমি ডিডি দিয়ে গন্ডগোল সৃষ্টি করেছেন বাসুদেব মন্ডল। ঘের ম্যানেজার আলমগীর অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন প্রকাশ্যে মানুষের সামনে বাসুদেব মন্ডল স্বাক্ষর করে চলতি বছরের হারীর টাকা গ্রহন করে এখন মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। তবে তিনি সবুর হাওলাদারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানান,হানির জামতলা ৫৪ বিঘার চিংড়ি ঘের খন্ড থেকে সবুর হাওলাদারে ৫ বিঘার টপ ঘের পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সম্পা ফিসের সত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে নায্য মুলে মানুষের হারীর টাকা দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছি। অহেতুক, মিথ্যা অভিযোগ করে মানুষ হয়রানী করা ঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।