পাইকগাছায় খাবারে চেতনানাশক ট্যাবলেট দিয়ে ঘড়ের আসবাবপত্র চুরি, অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার ১

0
83

নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) আসামি ইমামুল জোয়াদ্দার পাইকগাছার মশিয়ারের পল্ট্রিখামারের ঘরের পাশে রান্নাঘরে রান্নাকরা তরকারির ভিতর চেতনানাশক ১০ টি বড়ি মিশিয়ে দিয়ে রাতে ঐ বাড়ীতে ঢুকে কালার টেলিভিশন চুরি করার সময় বাড়ীর একটি মেয়ে হঠাৎ জেগে গিয়ে চোর চোর বলে চিল্লাতে থাকে । তখন ঐ মেয়েটি কাল রং-এর শার্ট এবং জিন্সের প্যান্ট পরিহিত আবস্থায় একজন লোককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে । পালানোর সময় তার পকেটে থাকা জাহানারা বেগমের চুরি করা মোবাইল ফোনটি পড়ে যায়। তার পরনের দুই ফিতার স্যান্ডেলটি খুলে যায়। উক্ত ঘটনায় পাইকগাছা থানা পুলিশ সংবাদ পায়। সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রাপ্ত মোবাইল ফোন এবং আসামির স্যান্ডেল, আসামির বর্ণনা, দেহের গড়ন, (বয়স ২৩/২৪ বছর) প্রভৃতি পেয়ে পাইকগাছা থানা পুলিশ প্রাথমিক ধারনা করে এই ঘটনায় এনামুল জড়িত থাকতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে পাইকগাছা থানা পুলিশ
এনামুলকে ধরার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়। উক্ত ঘটনায় পাইকগাছা থানার মামলা নং-১৪, (১৪ ফেব্রæয়ারি) ধারা-৪৫৭/৩২৮/৩৮০/৫১১ দঃ বিঃ রুজু হয়। গত (১৫ ফেব্রæয়ারি) পাইকগাছা থানার জিডি নং-৮৪৩ মূলে বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে সময় ২২.৩৫ ঘটিকায় কপিলমুনি বাজারে অবস্থানকালে পাইকগাছা থানা পুলিশের আভিযানিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পাইকগাছা থানার কপিলমুনি ইউপি, পূর্বকাশিমনগরের মোস্তফা গাজীর মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের পরিত্যক্ত ঘরে মাদক দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য একজন ব্যক্তি অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একই তারিখ রাত ১১টায় সময় পাইকগাছা থানা পুলিশের আভিযানিক টিম উক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত আসামির দেহ তল্লাশি কালে তার পরিহিত কালো-রং এর জিন্স প্যান্টের ডান কোমরে গোজা লোড অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ১টি ওয়ান সুটার গান ও ১ রাউন্ড তাজা গুলি পাওয়া যায়। একই প্যান্টের বাম পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ১শ’ পিস এবং চেতনানাশক ট্যাবলেট এবং ঝঐঊওকঐ সিগারেট পাওয়া যায় গ্রেফতার কালে আসামির পরনে কালো শার্ট এবং কালো জিন্স প্যান্ট পরিহিত অবস্থা গ্রেফতার কারা হয়। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আসামির বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় পৃথকভাবে অস্ত্র ও মাদক মামলা রুজু হয়। পাইকগাছা থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-১৬/০২/২০২৪ খ্রিঃ ধারা- ১৯ (ধ) / ১৯ (ভ) ঞযব অৎসং অপঃ.১৮৭৮ পাইকগাছা থানার মামলা নং-১৭, তারিখ-১৬/০২/২০২৪ খ্রিঃ ধারা- ২০০৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনি ১০ (ক) ধৃত আসামি ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, পাইকগাছা গুচ্ছ গ্রামে থাকা অবস্থায় সে রাতের বেলায় ২/৩দিন রাড়–লী ষষ্ঠীতলা বাজার সংলগ্ন মাঠের পাশের জাহানারা বেগমের বাড়ীর দক্ষিন দিকের মেহেগুনী বাগানে নেশা করতে গিয়েছিল। জাহানারা বেগম একাই ঐ বাড়িতে থাকেন। গত ১১/০২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার দিকে আসামি ভাতের ভিতরে চেতনানাশক ট্যাবলেট দিয়ে দেয়। পরে রাত্রী অনুমান ২টায় দিকে ঐ বাড়িতে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ভিকটিমের ঘুম ভেঙ্গে গেছে মনে করলে ভিকটিমকে প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে, আসামির পকেটে থাকা সুপারগু ভিকটিমের চোখে এবং মুখে লাগিয়ে দেয় এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। মহিলার গোঙরানিতে পাশের বাড়ির একজন মহিলা চোর চোর বলে ঘরের বেড়ার টিনে বাড়ি দিলে আসামি এনামুল ভয়ে বালিশের কাছ থেকে মহিলার হালকা সবুজ রংয়ের আইটেল কোম্পানীর ফোনটি ও কানের দুল দুটি নিয়ে ছদে উঠে মেহগনী গাছ বেয়ে নিচে নেমে যায়।
আসামির বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানাসহ আশপাশ থানা এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ সংক্রান্তে আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) সুশান্ত সরকার পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), ক্রাইম অ্যান্ড অপস্, খুলনা সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।