পাঁচ কর্মসূচি বাস্তবায়নে খুলনায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা- ১৮ ও ১৯ মে ইউনাইটেড ক্লাবে

0
1561

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। দলের তৃণমূলকে সংগঠিত করা জাতীয় সম্মেলনের পূর্ব লক্ষ্য। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা সম্মেলন, নগর পর্যায়ে ওয়ার্ড, থানা ও নগর শাখার সম্মেলন সম্পন্ন, উপজেলা নির্বাচনে অভ্যান্তরীণ সংকট নিরাসন এবং অনুপ্রবেশকারীদের পদ পদবী না দেওয়ার লক্ষে খুলনায় বর্ধিত সভার আয়োজন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় ইউনাইটেড ক্লাবে ১৮ মে নগর আওয়ামী লীগের ও ১৯ মে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মাঠে নেমেছেন। আগামী অক্টোবরে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যেই দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একগুচ্ছ নির্দেশনা নিয়েই নেতৃবৃন্দ তৃণমূলে আসছেন। বর্ধিত সভার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মুজিব বর্ষ পালন।
দলের সূত্র জানান, খুলনার বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। গত বুধবার মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার বর্ধিত সভায় নেতৃবৃন্দ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দ্র”ত সম্মেলন করার পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীরা যেন দলের পদ-পদবীতে না আসতে পারে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুুুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, স্থানীয়ভাবেও সতর্ক থাকতে হবে। গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা খুুুুলনা বিভাগের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে এ বিভাগের জেলাগুলোতে বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে যশোর, ১৩ মে নড়াইল, ১৪ মে মেহেরপুর, ১৮ মে খুলনা মহানগর, ১৯ মে খুলনা জেলা ও ২০ মে কুষ্টিয়া জেলার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম অপর এক গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সে মোতাবেক আমরা বিভিন্ন জেলায় বর্ধিত সভা করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছি। ছোটখাটো বিরোধ থাকলেও তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি। তৃণমূলকে আমরা বার্তা দিয়েছি দলকে সু-সংগঠিত করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিকে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো। একই সঙ্গে ২০২০-২০২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের পাশপাাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পালন করতে চাই। এজন্য যা যা করা প্রয়োজন সে নির্দেশনা থাকছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জেলা সফরে।
স্থানীয় অন্যান্য সূত্রগুলো বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় বর্ধিত সভায় তা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে। কোনোক্রমেই দলের অভ্যন্তরে মতবিরোধ থাকবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: সুজিত কুমার অধিকারী এ প্রতিবেদককে জানান ১৯ মে জেলা শাখার বর্ধিত সভায় ৪জন সংসদ সদস্য, ৮ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শাখার ৭১ সদস্য উপস্থিত থাকবেন। বর্ধিত সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা কমিটির সম্মেলনের নির্দেশনা আসবে। বর্ধিত সভা সফল করতে শনিবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা শাখার নির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।