তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে স্পিকারের আহবান

0
248

খুলনাটাইমস ডেস্ক : তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের পথচলায় আমাদের ব্যাপক অর্জন ও সফলতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বের নিকট উন্নয়ন বিস্ময়। এই উন্নয়নকে তরান্বিত করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ও ফলপ্রসু ভূমিকা রাখছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯’ এর র‌্যালী উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, এমন আয়োজন টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। আজকের প্রতিপাদ্য ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ আমাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আধুনিকায়ন, সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ফোনের যুগান্তকারী ব্যবহার, আইটি পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি, জাতীয় শিক্ষাক্রমে আইসিটি শিক্ষা সংযোজন, আইসিটি প্রশিক্ষণসহ ব্যাপক কর্মসূচি সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ মহাকাশে সফলভাবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপনে সক্ষম হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, শ্রমশক্তির জন্য সুযোগ তৈরি ও কর্মসংস্থান তৈরিতে আইসিটি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তিনির্ভর শ্রমশক্তি তৈরিতে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণশক্তিকে কাজে লাগানোর কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে।
স্পিকার বলেন, নাগরিকদের কাছে ডিজিটাল সেবা প্রদান ও তাদের কাছে সকল রকম সুবিধা আজ শুধু শহরভিত্তিক নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামে শহরের সকল সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে সহযোগী ও সহায়ক হিসেবে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে মানুষ তথ্য প্রযুক্তির সকল সেবা গ্রহণ করে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘এটুআই’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরণের সার্ভিস প্রভাইডিং কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন লার্নিং ও নারী সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘সি-লার্নিং’ প্রকল্পটি প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং সার্ভিস প্রভাইডিংয়ের মাধ্যমে আগামীতে পাঁচ বিলিয়ন আয় করতে পারবে বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। সংসদের কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি ও সদস্যগণ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।