জেলহত্যা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

0
150

টাইমস ডেস্ক:
জেলহত্যা দিবস স্মরণে ডাক অধিদফতর ৫ টাকা মূল্যমানের পাঁচটি স্মারক ডাকটিকিটের সমন্বয়ে একটি সিটলেট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় তার দফতর থেকে স্মারক ডাকটিকিটের সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করেন মন্ত্রী। জেল দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত উপলক্ষে মন্ত্রী বিবৃতিও দিয়েছেন। স্মারক ডাকটিকিটের সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম ৩ নভেম্বর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট, ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রকোষ্ঠে ঢুকে একদল দুষ্কৃতকারী হত্যা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজর”ল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামার”জ্জামানকে। বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জেল হত্যাকা- ইতিহাসের কেবলমাত্র আরও একটি পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ঘটনাই ছিল না। এটি ছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলার স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের ফসল। ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের হৃদয় বিদারক ঘটনা দু’টি ছিল বাঙালি জাতিকে কার্যকর নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করার পরাজিত শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের কুৎসিত বাস্তবায়ন।’ জাতীয় চার নেতার ভূমিকা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তারা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক সহকর্মী। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের রক্তের সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই ইতিহাসের মীর জাফর রূপী খুনি মোস্তাক তাদের বাঁচতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের পরতে পরতে তাদের ভূমিকা ইতিহাসে অমরত্ব দান করবে।