জনি হত্যাকান্ডে গ্রেফতার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার পারভেজ

0
439

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ
খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মীরেরডাঙ্গা সেনপাড়ার আবু সুফিয়ান কলোনীর মোস্তফা ফরাজীর পুত্র ট্রাক হেলপার জনি ফরাজী হত্যাকান্ডে ঘ্টনায় তার পিতা মোস্তাফা ফরাজী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে(মামলা নং ১৮ তাং ৩১/৮/১৯)। এই ঘটনায় পুলিশ এলাকায় চিরুনী অভিযান চালিয়ে রেখার পুত্র লিমন(১৮) এবং রোকা মিয়ার পুত্র পারভেজ(১৮)কে গ্রেফতার করেছে। গতকাল সোমবার গ্রেফতারকৃত পারভেজকে খুলনা মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করা হয়। অপর আসামী লিমনকে পাচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত পারভেজ ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে নিজে সহ তিনজন জড়িত থাকার কথা স্বিকার করেছে। সম্প্রতি দিঘলিয়া এম এ মজিদ কলেজের সামনে একটি মহিলার স্বর্ণের হাতের রুলি এবং গলার চেইন ছিনতাই এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে । ঘটনার দিন রাতে নিহত জনিকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মীরেরডঙ্গা ঘাট পার হয়ে দিঘলিয়ার কলেজের মসজিদ সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে সেনাপাড়ার আলমগীরের পুত্র কালা জনি, একই এলাকার রেখার পুত্র লিমন এবং রোখার পুত্র পারভেজ বেøড দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ যাতে খুজে না পায় সে জন্য নদীতে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার লিমনের কাছ থেকে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামী কালা জনিকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য গত ২৯ আগস্ট রাতে বাসা থেকে নিখোঁজ হলে ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুরে ভৈরব নদীর বিএল কলেজ সংলগ্ন তরফদার ঘাট থেকে লাশ অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার করে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে গোয়ালখালিতে দাফন করা হয়। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহতের পরিচয় জানতে পেরে ঐদিন হত্যাকান্ডের বিভিন্ন সুত্রপাত ধরে অভিযানে নামে।