চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীকে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ

0
193

টাইমস ডেক্স: সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে দাফতরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার সকালে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো (সব পর্যায়ে) জনসাধারণের মাঝে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের লকডাউনের পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা/চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাফতরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য বলা হলো। এতে আরও বলা হয়েছে, দাফতরিক কার্যক্রম এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে যাতায়াতের সময় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পরেও অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কর্মস্থলে যাতায়াতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে শুরু হয় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এরইমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটেছে একাধিক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। গত রোববার এক চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাগবিতÐার ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। সাইন্টিফিক্যালি তো ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আগের শর্ত মেনে লকডাউন কন্টিনিউ (অব্যাহত) করবে। বিধিনিষেধ আরও সাতদিন বাড়ল।