চট্টগ্রাম কারাগারে ওসি প্রদীপ

0
200

খুলনাটাইমস: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজির করতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় তাকে কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয় বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন। জানা গেছে, দুদকের মামলায় সোমবার হাজিরা দিতে সাবেক ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এ মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়। আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর আদেশের শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ১২ মে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তারা পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফের আগে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার ওসি, সিএমপির পতেঙ্গা, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসব জায়গায় কাজ করতে গিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। একাধিকবার স্ট্যান্ড রিলিজও হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অদৃশ্য ছায়ায় পার পেয়ে গেছেন প্রদীপ কুমার দাশ। সর্বশেষ টেকনাফ থানায় যোগদান করে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রদীপ কুমার দাশ। মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে রয়েছে। এ ছাড়া নিরীহ লোকজনকে বন্দুকযুদ্ধের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।