ঘূর্ণীঝড় তিতলীর বৃষ্টি শরণখোলা অঞ্চলের কৃষির জন্য আর্শিবাদ

0
491

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস: ঘূর্ণীঝড় তিতলীর বৃষ্টি শরণখোলা সহ এ অঞ্চলের কৃষক ও কৃষির জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছে। পানির অভাবে আমন ধানের ক্ষেত হলুদ হয়ে উঠেছিলো ফসলের চিন্তায় যখন দিশেহারা হয়ে পড়ছিলাম ঠিক তখন ঘূর্ণীঝড় তিতলি আমাদের উপর আল্লাহর রহমত বয়ে নিয়ে এসেছে। কথা গুলো বলছিলেন, শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কৃষক মমিন উদ্দিন হাওলাদার। তিতলির প্রভাবে টানা তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে ফসলের মাঠ পানিতে ভরে গেছে। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি পেয়ে রাতারাতি ফসলের মাঠ সবুজ আকার ধারন করেছে। এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ অঞ্চলে বৃষ্টির উপর নির্ভর করেই কৃষকরা আমনের চাষ করে থাকেন । কিন্তু গত টানা এক মাস প্রচন্ড গরম ও খরায় আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছিলো। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো। খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক আঃ হক, চাল রায়েন্দা গ্রামের কৃষক সাইদ আহমদ এবং ধানসাগর গ্রামের কৃষক সুর্যকান্ত মিস্ত্রী জানান, গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে তাদের হতাশা দুর হয়েছে এখন আর জমিতে সেচ দিতে হবেনা।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, বৃষ্টির অভাবে আমনের কাংখিত উৎপাদন নিয়ে শংকায় ছিলাম সাম্প্রতিক বৃষ্টি আমনের বাম্পার ফলনের আশা জাগিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি রোপা আমন মৌশুমে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১নং ধানসাগর ইউনিয়নে ২৩৫০ হেক্টর, ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নে ২৪৫০ হেক্টর , ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নে ২৩৫০ হেক্টর, ও ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়নে ২১২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। চাষকৃত জমির মধ্যে ৪৮০০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৪৪৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন রোপন করা হয়েছে।