খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে ঘিরে যত জল্পনা

0
889

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি/সম্পাদকসহ অনান্যরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম জোরেসোরে বলে চলেছেন। তবে এবার প্রেস কমিটি নয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনে কাউন্সিলের মাধ্যমে শীর্ষ পদ দুইটির পরিছন্ন ও দলের প্রতি যাদের শ্রম ও ত্যাগ অঅছে তাদেরকে নির্বাচন করতে কঠোর তৃর্ণমুলের নেতা কর্মীরা।
সূত্র জানায়, বিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ জুন ২০০৫ সালে। এ সময় মালিক সরোয়ার উদ্দিনকে আহবায়ক ও মো: মোতালেবসহ মোট ৪ জনকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৫১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন হয়। যার অনুমোদন দেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে জেলা ও উপজেলায় আনন্দের বাতাশ বইতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা জেলা সম্মেলনে নতুন মুখের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ। গত জুলাই মাসে নয় উপজেলার নেতৃবৃন্দ দু’দফা বৈঠকও করেছেন বলে সূত্রটি জানায়। এসময় তারা তাদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে খোলামেলা কথাও বলেন।
আসন্ন সম্মেলনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় রূপসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রুহুল আমীন রবি, বটিয়াঘাটার সভাপতি হুমায়ুন কবীর, তেরখাদার সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, দাকোপের আহবায়ক জিএম এহতেশাম রেজা, দিঘলিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ডুমুরিয়ার যুগ্ম-আহবায়ক রকিবুল ইসলাম, ফুলতলার আহবায়ক অজয় নন্দী, পাইকগাছার সভাপতি ডা: তৃপ্তি রঞ্জন ও কয়রার স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আক্তারুল ইসলামের সাথে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হতে চলেছে যেনে আমরা উৎসাহিত। আমরা চাই সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে আসন্ন সম্মেলনে কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। সেক্ষেত্রে আমরা সভাপতি হিসেবে মো: মোতালেব হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমান মিজানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। কারণ মোতালেব ও মিজান দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত। তারা এ সংগঠনের তৃর্ণমূল থেকে উঠে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে আগামীতে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী করা সম্ভব। একই সাথে নয় উপজেলঅ, পৌরসভঅ ও জেলঅর রাজনীতি আরো শক্তিশালী হবে। শীর্ষ এ দুটি পদে অবশ্যই পোড় খাওয়া,ত্যাগী, পরিছন্ন ও এই সংগঠনের দীর্ঘদিন সময় দেওয়া নেতাকেই আমরা পছন্দ করেই সিন্ধান্ত গ্রহন করেছি। বাকি শুধু সম্মেলনের কাউন্সিল।
এ বিষয় নয় উপজেলার নেতাদের পছন্দের সাধারণ সম্পাদক প্রর্থী বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেখ মিজানের সাথে মুঠোফেনে কথা হলে তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে জাতীর পিতার আর্দশকে বুকে লালন করে স্বাধীনতার স্বপক্ষে সব সময় কাজ করে চলেছি। আমি ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসেছি। জেলার নয় উপজেলায় এই সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকা নেতারা সংগঠনের প্রয়োজনে যদি আমাকে চায়, তাহলে আবশ্যই আমি জেলার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আমার যোগ্যতা ও দক্ষতাকে সংগঠনের কাজে লাগিয়ে সবার চাওয়া সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করবো।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান যুগ্ম-আহবায়ক মো: মোতালেব হোসেন বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করে এপর্যন্ত এসেছি। আগামী সম্মেলনে আমি জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের দাবীর মুখে সভাপতি প্রার্থী হতে চলেছি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলে সবকিছু পরিস্কার হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মালিক ছরোয়ার উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছি। পরবর্তীতে আমি আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ায় এবার সম্মেলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব ছেড়ে েিবা। তবে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন শেষ করা হবে।