খুলনায় মসলার বাজারে ঈদের ‘ঝাঁঝ’

0
566

ফকির শহিদুল ইসলামঃ
কোরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র ১দিন বাকী। এরই মধ্যে খুলনার মসলার বাজারে লেগেছে ঈদের ঝাঁঝ। মসলার দামে যেন আগুন ধরেছে। অথচ মসলার সরবরাহে নেই কোনো ঘাটতি। আমদানিও বাড়ানো হয়েছে। তারপরও মসলার দাম লাগামছাড়া। প্রতি বছর ঈদুল আজহা এলেই পাল্লা দিয়ে বাড়ে মসলার দাম। এবারের ঈদেও হয়নি এর ব্যতিক্রম।

দুই সপ্তাহ আগে আদার কেজি ছিলো ৬০-৭০ টাকা। এখন তা কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। এভাবে প্রতিটি মসলার দাম বেড়েই চলেছে। নগরীর বড়বাজার, দৌলতপুর, আড়ংঘাটা, ফুলবাড়ীগেট ও খালিশপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারী বাজার ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ ১৫০০টাকা। যা আগে ছিল ১২-১৩’শ টাকা। জিরা আগে ছিল ২৫০টাকা এখন ৩৫০টাকা। হলুদ আর গোল মরিচের দাম অপরিবর্তীত্ব রয়েছে। তবে দাম বেড়েছে শুকনা মরিচের। অধিকাংশ মসলায় ৫০ থেকে ১০০টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, মসলা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য থাকে সব সময় লাভ। কুরবানির ঈদের সময় ও গরম মসলার চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। সঙ্গে পেয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাচা ও শুকনা মরিচের চাহিদাও বাড়ে। চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানিও বাড়ান। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোগানও বাড়ে। কিন্তু বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ইচ্ছেমতো এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারো তেমনটিই ঘটতে যাচ্ছে।
নগরীর বড় বাজারে আসা ক্রেতা তুলি আক্তার বলেন, বাজারে মসলার চাহিদা বেশি হয় কুরবানির ঈদে। মাংস রান্না করতে জিরা, দারূচিনি, এলাচি, গোলমরিচ ও লবঙ্গ অপরিহার্য। এসব মসলা ছাড়া রান্নায় স্বাদ আসে না। রান্নায় অপরিহার্য হওয়ার সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোরবানি ঈদ এলে হাঁকান বাড়তি দাম। কোনো উপায় না থাকায় সাধারণ মানুষকে বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে ‘গরম মসলা।

নগরীর চিত্রালী বাজারের মসলা ব্যবসায়ী মোঃ জামাল বলেন, প্রত্যেকটি মসলার দাম ৫০ থেকে ১০০টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজার ঈদের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভাল। ক্রেতার সংখ্যাও তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।