খুলনায় ইজিবাইকের লাইসেন্স ১ অক্টোবর রিক্সা ব্যাটারী অপসারণ ১৫ অক্টোবর হতে

0
589

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জরুরী বিশেষ সভা বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভায় খুলনা মহানগরীতে চলাচলকারী রিক্সা থেকে ব্যাটারী ও মোটর অপসারণের ১৫দিন বর্ধিত করে ১৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ নির্ধারণ এবং ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ থেকে ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া মহানগরীর অভ্যন্তরীণ খালসমূহ অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রাখা, মাদকমুক্ত খুলনা মহানগরী গড়ে তুলতে ৩১টি ওয়ার্ডে মাদক বিরোধী সমাবেশের আয়োজন, শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনে সার্বিক সহায়তা প্রদান, ইজিবাইকের পিছনে নম্বর প্লেট স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর লিপিবদ্ধকরণ, অবৈধ ব্যাটারী চার্জিং পয়েন্টসমূহ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে খুলনাকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, নগরীর অভ্যন্তরীণ খালসমূহে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রাখা, খাল খনন, খালের উভয় পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ ময়ূর নদীর পাড়ে সৌন্দর্য্যমন্ডিত বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সিটি মেয়র বলেন, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে অগ্রসর হওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনায় মাত্র দশ বছরে দেশ অনেক অগ্রসর হয়েছে। খুলনার উন্নয়নের জন্যও তিনি ইতোমধ্যে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছেন এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি মেয়র ব্যাটারী চালিত রিক্সা’কে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বাহন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, খুলনার ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাটারী ও মটর বিহীন পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করবে। জলাবদ্ধতা ও মাদকমুক্ত খুলনা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিটি মেয়র বলেন, বরাবরের মত এবারও দুর্গা পূজা আনন্দঘন পরিবেশে উদপনের লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। নিজ নিজ এলাকার পূজা মন্ডপসমূহে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি কাউন্সিলরবৃন্দের প্রতি আহবান জানান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ) মো: এহসান শাহ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মো: আমিনুল ইসলাম মুন্না, মো: আলী আকবর টিপু, মেমরী সুফিয়া রহমান শুনুসহ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া সভায় উত্থাপিত বিষয়ে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, মাদক সমাজ কাঠামো এবং পারিবারিক শান্তি ধ্বংস করে করে দেয়। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি খুলনাকে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, খুলনাকে মাদকমুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি রিক্সা থেকে ব্যাটারী ও মটর অপসারণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং নগরীর যানজট নিরসন এবং যান চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় কতিপয় সুপারিশ তুলে ধরেন। সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে মনের সৌন্দর্য্যরে পরিস্ফুটন ঘটিয়ে শান্তিময় সমাজ গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন মেয়র মহোদয়ের উত্থাপিত বিষয়গুলিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সামগ্রিক চিত্র হিসেবে উল্লেখ করে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দেন। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করলে শীঘ্রই খুলনা মহানগরীকে যানজট, মাদক ও জলাবদ্ধতামুক্ত শহর হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।