কুঁন্দুড়িয়া প্রাইমারী স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে মামলা ও অনভিপ্রেত কর্মকান্ড!

0
206

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলায় বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলাকালীন লুকোচুরি সম্বলিত কার্যক্রম ও প্রধান শিক্ষকের উপর হুমকী ধামকী দিয়ে কার্য সাধনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলা (মিস আপীল ০৫/২১) সূত্রে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন উপলক্ষে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের জন্য গত ২০/০৬/২০ তাং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ২৬/৬/২০ তারিখে আবেদন পত্র আহবান করা হয়। নির্ধারিত দিনে ৫ জন প্রার্থী আবেদন পত্র জমা দেন। ২৮/৬/২০ তাং আবেদনকারীদের মধ্যে একজন নিমাই সাধু তার আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিপ্লব কুমার সরদার, অসিত কুমার মন্ডল, কাকলী রানী মন্ডল ও শিউলি খাতুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। উক্ত নির্বাচন সঠিক আইনানুগ ও বিধি সম্মত হলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনঃ গঠন উপলক্ষে ১০/১১/২০ তাং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যা নিতান্ত বেআইনি ও নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ায় আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে ৮/১১/২০ তাং দেং ১১৪ নং মামলা রুজু করা হয়। বিজ্ঞ আদালত স্টে অর্ডারের আবেদন না মঞ্জুর করেন এবং ১৭/১/২১ তাং পরবর্তী দিন ধার্য হয়। অন্যদিক মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ১৯/০১/২০ তাং কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বিধান চন্দ্র মন্ডল বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৪/১/২১ তাং মিস আপীল ০৫/২১ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৯/১ তাং শুনানী শেষে মামলা গ্রহণপূর্বক নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বিবাদীদেরকে শোকজ করেন। বিবাদী প্রধান শিক্ষক ২৭/০১ তাং হাতে হাতে নোটিশ পান। ফলে দ্বিতীয় দফায় গঠিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈধ কিনা, একমিটি নিয়ে মিটিং করা সমীচিন কিনা, পূর্বে নির্বাচিতরা মূল্যায়িত হবেন কিনা, দু’টি তফশীলে নির্বাচিত দু’ দল অভিভাবক সদস্যদের কাকে কতটুকু মূল্যায়ন করবেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় নিয়ে স্কুলের অভিভাবকরাও যেমনি দ্বিধাগ্রস্ত, প্রধান শিক্ষকও কিংকর্তব্যবিমুঢ় হতে বসেছেন। মূলত বিদ্যালয়ের অভিভাবক, গন্যমান্য ব্যক্তি ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আদালতে মামলা চলমান থাকায় প্রধান শিক্ষক আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতীত কিভাবে কাজ করবেন। এমন অবস্থার মধ্যে ২য় দফায় নির্বাচিতরা প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে মিটিং আহবানসহ বিভিন্ন কাজ নিয়ে বিব্রত করে তুলছেন। এমনকি লুকোচুরির মধ্যদিয়ে কাগজ তৈরি করে প্রধান শিক্ষককে ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছেন বলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন। মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম ও প্রধান শিক্ষক জানান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রবীন দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীকে দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিনানুমতিতে স্কুল খুলে ছবি উঠানোসহ কয়েকজন অভিবাবককে নিয়ে মিটিং করার চেষ্টা, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশের পায়তারা চালাচ্ছেন। এমনকি ব্যাক ডেটে কাগজতৈরি করে তাতে অভিভাবকদের ভুল কথা বলে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে মঙ্গলবার (২ ফেব্রæয়ারি) সহকারী শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিতে গেলে মহিলা মেম্বার জানতে পেরে হাজির হলে তারা গা ঢাকা দেয়। অভিভাবক সদস্য ভারতী বিশ্বাস ও রিংকু পরামান্যকে দরখাস্ত না পড়িয়ে মিটিং করার জন্য স্বাক্ষর নিচ্ছে এমন কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালে তার কাছে স্বাক্ষর নিতে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি না পড়ে স্বাক্ষর করতে রাজী হননি। প্রধান শিক্ষক বলেন, উত্তম কুমার সরকার তাকে মিটিং ডাকার জন্য জবর দস্তি ও হুমকী দিচ্ছেন। এব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম বলেন, আদালতে মামলা চলছে, কিন্তু প্রধান শিক্ষক মিটিং করছেন না। করলে সমস্যা ছিলনা বলে তিনি মনে করেন।