উপকূলবর্তী জেলা খুলনায় আশি কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ

0
773

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও রূপসা উপজেলায় আশি কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঘুর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে আট কিলোমিটার বাধ বিধ্বস্ত হয়েছে। দাকোপের বানিশান্তা ও বটিয়াঘাটার আমিরপুর ইউনিয়নে বাধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধের প্রতিবেদন রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর সূত্র জানান, এসব উপজেলায় আশি কিলোমিটার বাধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে, পাইকগাছা উপজেলায় ৯, ১০/১২, ১৬, ১৮/১৯, ২০, ২০/১, ২১, ২২, ২৩, ৩০, ৩১/ একাংশ, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৩৪/২, দাকোপ উপজেলায় ৩১, ৩২, ৩৩, রূপসা উপজেলার ভৈরব ও রূপসা নদীর তীর। এ ছাড়া সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলায় ১২ কিলোমিটার, আশাশুনি উপজেলায় ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আতংঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফণীর আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য উপকূল এলাকার দশ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) পলাশ কুমার ব্যানাজ্যি এ প্রতিবেকদকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত মাসে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারের বাধ সমূহের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে। উপজেলায় বাধের ২৭টি পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ সভায় উল্লেখ করেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের বাধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ উপজেলার শাকবাড়িয়ায় কপোতক্ষ নদের ভাঙনে এলাকাবাসী আতংঙ্কগ্রস্ত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তেরখাদা উপজেলার পারহাজী গ্রাম এলাকায় আত্রাই নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রূপসা ও ভৈরব নদীর ভাঙন থেকে খুলনা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপণা রক্ষায় একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।
খুলনা-৬ এ সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় ৫৫ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণের জন্য সংসদের প্রথম অধিবেশনে দাবি তোলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে আইলা নামক প্রাকৃতিক দূর্যোগে কয়রা উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত এক সপ্তাহে দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা বাজারে বেড়িবাধে ভাঙন দেখা দেয়। গত রোববার পশুর নদীর পানির চাপে বেড়িবাধের চারটি স্থান বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ৫শ’ পরিবারের প্রত্যেকে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, লবন, চিনি ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।