আশাশুনির বেতনা নদীতে পথভুলে আসা ডলফিনটি অবশেষে মারাগেল

0
361

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
শান্তি প্রিয়, মানুষ ও পরিবেশের জন্য উপকারী ইরাবতি ডলফিনটিকে বাঁচাতে কেউ এলেন না। আসলেও কেউ বাঁচানোর জন্য কাঙ্খিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দীর্ঘ ৪/৫ মাস আশাশুনির বেতনা নদীতে পথ ভুলে আসা ডলফিনটির বেঁচে থাকার আকুতি শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার নওয়াপাড়া গ্রামে বেতনা নদীর তীরে মরা ডলফিনটি পাওয়া যায়। গত ২ এপ্রিল প্রথম বার ডলফিনটি ভাটার সময় নদীর পানি একেবারে কমে যাওয়ায় বেতনা নদীর তীরে বুধহাটা ইট ভাটার কাছে চরে আটকে গিয়েছিল। তখন প্রশাসনকে জানানোর পর ডলফিনটি নদীর পানিতে ছেড়ে দিতে বললে স্থানীয়রা সেটি নদীতে যেখানে পানি একটু বেশী সেখানে ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডলফিন না ধরা এবং ডলফিনকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টির প্রচার চালান হয়। ২য় দফায় একই ডলফিন গুনাকরকাটি ব্রীজের কাছে ২৮ এপ্রিল আটকা পড়ে। এরপর সেটি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে চলে যায়। তখন খুলনা থেকে সরকারি ভাবে জলজ প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য লক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তাগণ এসে ডলফিন এর জীবন যাপন প্রণালী, ডলফিনের বাঁচিয়ে রাখার উপায় সচেতনা মূলক সভা করেছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পাপিয়া আক্তারও ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ডলফিনটিকে উদ্ধার করে সাগরে কিংবা অপেক্ষাকৃত বেশী পানির নদীতে ছেড়ে আসার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর কয়েকবার ডলফিনটিকে বুধহাটা, কুল্যা, নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাসতে দেখা গেছে। নদীর ঘোলা ও ময়লা পানি, কম পানি, প্রয়োজনীয় খাদ্য না পাওয়াসহ প্রতিকূল পরিবেশে জীবনকে টিকিয়ে রাখতে না পেরে ডলফিনটি মারা গেছে। মঙ্গলবার নওয়াপাড়া গ্রামে ঈদগাহ এর পাশে বেতনা নদীতে ভিড়ে থাকা সাগরের পানি এনে বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারিতে সরবরাহ কাজে নিয়োজিত কার্গোর গিরাফীর দড়িতে আটকে থাকা মরা ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে এটি ২/৩ দিন আগেই মারা গিয়েছিল।