আফগানিস্তানে ছয় দিনে অষ্টম প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিল তালেবান

0
107

টাইমস ডেস্ক বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন বিদেশি বাহিনীগুলোর প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার মধ্যে মাত্র ছয় দিনে আফগানিস্তানের আটটি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা। বুধবার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফাইজাবাদের নিয়ন্ত্রণও তালেবানের হাতে চলে গেছে বলে আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাদাখশানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জাওয়াদ মুজাদিদি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফাইজাবাদে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সরকারি বাহিনীগুলো পাশের জেলাগুলোতে পিছু হটেছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার অভিযান শুরুর আগেই তালেবান যোদ্ধারা প্রদেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফাইজাবাদ অবরোধ করেছিল। আফগানিস্তানের সর্ব উত্তরপূর্বের প্রদেশ বাদাখশানের সঙ্গে তাজিকিস্তান, পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত আছে। এই শহরটি হারানোর মধ্য দিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়া প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকার আরেকটি বিপর্যয়ের শিকার হল, যারা গত কয়েক মাস ধরে তালেবানের হামলার গতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আফগানিস্তানের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে দেশটিতে কঠোর শরিয়া আইন চালু করতে চায় তালেবান। তাদের বিস্ময়কর অগ্রগতিতে হতবাক হয়ে গেছে দেশটির সরকার ও তাদের মিত্ররা। মঙ্গলবার পর্যন্ত তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ৬৫ শতাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় তারা দেশের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলানের রাজধানী পুল-এ-খুমরির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পুল-ই খুমরির আগে তালেবানের দখলে নেওয়া ছয় প্রাদেশিক রাজধানী হচ্ছে- নিমরোজ প্রদেশের জারাঞ্জ, জাওজানের শেবারগান, কুন্দুজ প্রদেশের কুন্দুজ, সার-ই-পুল প্রদেশের সার-ই-পুল, তাখার প্রদেশের তালোকান এবং সামানগান প্রদেশের আইবাক। আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিতে আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। এগুলো হচ্ছে, পশ্চিমাঞ্চলের ফারাহ প্রদেশের রাজধানী ফারাহ নগরী, হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাত, দক্ষিণাঞ্চলে হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গা এবং কান্দাহার প্রদেশের রাজধানী কান্দাহার। দেশের উত্তরাঞ্চলে দখলে নেওয়া এলাকাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে তালেবান। তারা এখন উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর মাজার-ই-শরিফের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। তবে শহরটি রক্ষায় প্রাণপন লড়াইয়ের সংকল্প নিয়েছে সরকারপন্থি মিলিশিয়া বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে শহরটির প্রতিরোধকারী যোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে মাজার-ই-শরিফে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গনি। এখানে তিনি স্থানীয় প্রধান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। টুইটারে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর বলেছে, “প্রেসিডেন্ট গনি স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে, রাজনৈতিক ও জিহাদি নেতাদের সঙ্গে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মুরুব্বিদের ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।”