আপনারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করুন ইনশাল্লাহ খুলনাকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করবো:সেখ জুয়েল এমপি

0
538

খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, খুলনা সহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। কাজের মান ঠিক রেখে এই কর্মযজ্ঞ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের, সেটি আজ স্বীকৃতি পেয়েছে, ইনশাল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে এর কাজের অনুমোদন হয়ে যাবে। তিনি সাংবাদিক ও খুলনাবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এই উন্নয়ন আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য, সেকারনে কাজ যথাসময়ে শেষ করা এবং কাজের গুনগত মান তদারকি করা আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করে খুলনাসহ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জল করুন। তাহলে বিদেশীদের আমাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা জন্মাবে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার নিজের সম্মানির টাকা মসজিদের উন্নয়নে দিয়েছি। এছাড়া বায়তুল আমান, দ্বীলওয়ালি ও নিরালা কবরখানা জামে মসজিদে মধুমতি ব্যাংক থেকে ১৩ লাখ টাকা এনে দিয়েছি। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন, শামছুর রহমান রোডে ১৫ তলা বিশিষ্ট বিভাগীয় কনভেনশন সেন্টার নির্মান যা চলমান। রূপসায় ১০০০ আসন বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু কনভেশন সেন্টার নির্মানের অনুমোদন। শেখ রাসেল ইকো পার্ক নির্মানে ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ। রূপসায় দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর সামনে ১ শ’ ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিটি পার্ক নির্মানের অনুমোদন হয়েছে। শিশু হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ। স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদান। এবং ৫১ লাখ টাকার সোলার সিস্টেম বাদ বরাদ্দ। বিভিন্ন সময়ে দুস্থ্য ও অসহায় মানুষদের মাঝে প্রায় আড়াই লাখ টাকা বিতরণ। ঈদুল ফিতরের আগে নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার সকল ওয়ার্ডে শাড়ী লুঙ্গি, ঈদবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ। পাওয়ার হাউজ মোড় হতে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত শেরে বাংলা রোডকে চার লেনে উন্নীতকরণ (কাজ চলমান)। নিজস্ব তহবিল হতে ১০টি এতিমখানায় প্রত্যেকটিতে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মান, উর্ধ্বমূখী করণ সহ পূরাতন ভবন মেরামতের জন্য ব্যাপক আর্থিক বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুলনা নগর উন্নয়নে অর্থ আনা হয়েছে। যা দ্বারা খুলনাকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করা যাবে। এছাড়া আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে খুলনায় আইন শৃংখলার ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী কর্মকা- নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। যা অতীতের সকল সময়কে ছাড়িয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা ছিলো বলেই এত সব কর্মকা- করার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা আমাকে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করুন ইনশাল্লাহ খুলনাকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করবো।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা এমডিএ বাবুল রানা, মকবুল হোসেন মিন্টু, শ্যামল সিংহ রায়, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, হাফেজ মো. শামীম, কাজী জাহিদুল ইসলাম, অসীত বরণ বিশ্বাস, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মীর বরকত আলী, মনিরুজ্জামান সাগর, শফিকুর রহমান পলাশ, আলমগীর সরদার, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম পিটু, কামরুল ইসলাম, এস এম হাফিজুর রহান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান জিয়া, মো. শওকাত হোসেন, হোসেনুজ্জামান হোসেন সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে তিনি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরবাসীর স্বার্থেই পূজার পরেই রিকসা থেকে মোটর অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। যানজট নিরসনে ইজিবাইকে লাইসেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হবে। যার কার্যক্রম ইতোমর্ধে শুরু হয়েছে। কাষ্টমঘাট থেকে ফুলতলা পর্যন্ত যশোর রোডকে ডিভাইডার সহ চার লেনে উন্নীত করা হবে। ইনশাল্লাহ আগামী সভায় এর অনুমোদন নেয়া হবে। নগরবাসীকে সুপেয় পানি পান করানোর স্বার্থে ওয়াসার মাধ্যমে মোল্লাহাট থেকে পানি এনে শোধনাগারের মাধ্যমে নগরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনার উন্নয়নকে ঘিরে মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রামপালের ফয়লায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। খুলনাকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করতে খুলনা-মোংলা, মোংলা-ঢাকা, খুলনা-যশোর এবং খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের দু’পাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠছে। এই উন্নয়ন মহাযজ্ঞকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মান করছেন। এই সেতু দিয়ে রেল চলাচল করবে। খুলনা-মোংলা, মোংলা-সাতক্ষীরা, ঢাকা-মোংলা রেললাইনের কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে এসকল কাজের অধিকাংশই শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।