অনুদান নির্ভর নয়, চাই কেসিসি বাজেটের বাস্তবায়ন

0
778

অনুদান নির্ভর বাজেট নয়, বাজেটের বাস্তবায়ন চাই। শুধু বাজেটের আকার বড় হলেই চলবে না এর বাস্তবায়ন করতে হবে। নবনির্বাচিত মেয়রের নির্বাচনী অঙ্গিকারের বাস্তবায়ন করতে হবে। ২২ খাল দখলমুক্ত করতে হবে। নগরীর জন্য একটি মাষ্টারপ্লান তৈরী করতে হবে। যার উপর নির্ভর করে নগরীকে সাজাতে হবে। খুলনায় কনভেশন সেন্টার, কেসিসি’র উদ্যোগে জেনারেল হাসপাতাল, শিশুপার্কগুলো দখলমুক্ত করে আধুনিককরণ করতে হবে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। হকার পূর্নবাসন করে নগরীকে ফুটপাত মুক্ত করতে হবে। সড়কের যানজট মুক্ত করতে ইজিবাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। রিক্সায় ব্যাটারী অপসরণ করতে হবে।-এভাবে জনউদ্যোগ, খুলনার আলোচনা সভায় বললেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে কেসিসি’র আসন্ন বাজেট ২০১৮-১৯ ও নাগরিক প্রত্যাশা- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ,খুলনা আহবায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবীদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসীন, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম, সিপিবির নগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, ওয়ার্কার্স পার্টির মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাড. মোমিনুল ইসলাম, সেফের সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সিপিবির মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বাবুল হাওলাদার, সিডিপির সমন্বয়কারী এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আইন অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের আফজাল হোসেন রাজু, আইন অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের আফজাল হোসেন রাজু, সাংবাদিক খলিলুর রহমান সুমন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের মহাসচিব, এম এ কাশেম, এ্যাড. জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী, দীপক কুমার দে, ফুলতলা মহিলা কলেজের অধ্যাপক গৌতম কুমার কুন্ডু, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর ডা.সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার ইসরাত আরা হীরা, খুলনা আর্ট একাডেমীর পরিচালক মিলন বিশ্বাস, সুজনের সৈয়দ আরী হাকিম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, অনুদান নির্ভর করেই এই বাজেটের আকার বড় করা হয়েছে। তবে গত অর্থ বছরে যা প্রস্তাব করা হয়েছিল তার অর্ধেকের সামান্য বেশী বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা বাজেট ফলাও ভাবে ঘোষণা করি কিন্তু বাস্তায়ন কতটুকু হয়েছে তা আমরা ফলাও ভাবে প্রচার করিনা। কেন বাস্তবায়িত হল না, বাস্তবায়িত হতে কি বাধার সম্মুখিন হয়েছে তা উল্লেখ করার ক্ষেত্রে আমরা সংকোচ বোধ করি। গত বছরের ৪৪০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট এবার সংশোধিত বাজেট এসে দাঁড়িয়েছে ২শ’ ৫৫ কোটি টাকায়। বিজ্ঞপ্তি