টাইমস প্রতিবেদক:
খুলনার মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: সুমন রায়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে খুলনা মেডিক্যাল এসোসিয়েশন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম খুলনাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হলে সংগঠন থেকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এর আগে ডা: সুমন রায়কে অব্যাহতি দেয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), খুলনা শাখা। ঘটনার স্বাচিপ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ খুলনাটাইমসকে জানান, তাকে অব্যাহিত প্রদানপূর্বক তার সদস্য পদ বাতিলের জন্য স্বাচিপ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী কমিটির সভায় ডা: সুমনের বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে শাস্তিমূলক কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। সভায় সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হলে, তা আবার স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে, অত:পর সদস্য পদ বাতিল হবে। অনুরুপ প্রক্রিয়ায় বিএমএ’র সদস্য বাতিল হয় বলে এই চিকিৎসক নেতা জানান। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তর হতে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) খুলনার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সুমন রায়ের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে ১৬৫০ পিচ ইয়াব, ৫০ গ্রাম গাঁজ, গাঁজা-ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি এবং নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গত ৯ নভেম্বর বিকালে যৌথভাবে “হেলথ গার্ডেন” নামের ওই হাসপাতালে অভিযান চালায়। এসময় আসাদুজ্জামান হিরা (৩০) ও অথৈ (২২) নামের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়। পরে ডা: সুমন রায় সহ আটক হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। ঘটনার একদিন পর ১১ নভেম্বর স্বাচিপ খুলনার নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার অব্যাহতির বিষয় তুলে ধরেন। তবে স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সমালোচিত এই চিকিৎসক।