সাকিবরা সবার ওপরে, উপকার হলো মোস্তাফিজদেরও

0
359
shakib-al-hasan-rtv-online-সাকিব-আল-হাসান-আরটিভি-অনলাইন

খেলা ডেস্ক:

দিনের প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। তা কি আর সহ্য হয় হায়দরাবাদের! শীর্ষস্থান ফিরে পেতে সময় নিল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসল হায়দরাবাদ।
দিল্লিকে হারিয়ে সাকিবদের হায়দরাবাদের শীর্ষে ওঠায় উপকার হলো মোস্তাফিজদের মুম্বাই ইন্ডিয়ানসেরও। কেননা দিল্লি হেরে যাওয়ায় প্লে অফে খেলার আশা কিছুটা হলেও বেঁচে থাকল মুম্বাইয়েরও। দিল্লি যেখানে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে নেমে গেল। সেখানে ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে মুম্বাইয়ের অবস্থান এখন টেবিলের পাঁচে। আর ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে সবার ওপরে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের ১২ পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা।

শেষের দিকে আজ রোমাঞ্চ ছড়াল রাজিব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮। সেখানে এক বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান কেন উইলিয়ামসন ও ইউসুফ পাঠান। পাঠানের ব্যাটে যে এখনো মরিচা ধরেনি, ১২ বল খেলে দুই ছয়ে ২৮ রান করে দলকে জয় এনে দিয়েই প্রমাণ করলেন তা। আর ৩০ বলে ৩২ রান করেছেন উইলিয়ামসন।

অথচ শুরুতে ধীরে ব্যাটিং শুরু করেছিল হায়দরাবাদ। প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তাদের সংগ্রহ মাত্র ৩৪ রান। সেখানে ষষ্ঠ ওভারে রান গিয়ে দাঁড়াই ৬১। ষষ্ঠ ওভারে আভিশ খানের এক ওভারেই এসেছে ২৭ রান। অ্যালেক্স হেলস ছয় মেরেছেন চারটি। এই হেলসকেই নবম ওভারে দলীয় ৭৬ ও ব্যক্তিগত ৪৫ রানে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন অমিত মিশ্র। দলীয় স্কোর বোর্ডে আর ১০ রান যোগ করে ১১ তম ওভারে মিশ্রর বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে গিয়েছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৩০ বল খেলে তিনি রান করেছেন ৩৩।

ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার পর শেষ ৯ ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ৭৮। হাতে উইকেট আটটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কেন উইলিয়ামসন ও মানিশ পান্ডিয়া গড়েন ৪৬ রানের জুটি। ১৭.১ ওভারে দলীয় ১৩২ ও ব্যক্তিগত ২১ রানে ফিরে যান পান্ডিয়া।

শেষ দুই ওভারে রানের প্রয়োজন ছিল ২৮। তা তো পাঠান ও উইলিয়ামসন মিলেই তুলে নিয়েছেন এক বল বাকি থাকতে। বোল্টের ১৯ তম ওভারে আসে ১৪। শেষ ওভারে ক্রিশ্চিয়ানের ওপর ঝড় তোলেন পাঠান।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বী শাহ এবং অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। শুরুতেই ওপেনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারিয়ে বসে দিল্লি। ৩ বলে মাত্র ২ রান করে রান আউট হন ম্যাক্সওয়েল। এরপর ৮৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়ে তোলেন পৃথ্বী এবং শ্রেয়াস । ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শ্রেয়াস আউট হয়ে ফিরে গেলেও পৃথ্বী হয়ে ওঠেন আক্রমণাত্মক। ৩৬ বল খেলে ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। শেষ দিকে বিজয় শঙ্করের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রান।

৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি সাকিব আল হাসান।