সচেতনতা ও সাবধানতার বিকল্প নেই

0
517

সম্প্রতি চীনের উহান শহরের একটি সি-ফুড মার্কেট থেকে নতুন করোনা নামে নতুন একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি জাপান, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৫০০ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগী বাংলাদেশে এখনও পাওয়া না গেলেও ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। নতুন ভাইরাসটি নিয়ে এখনই ভীত হওয়ার কারণ না থাকলেও যেহেতু ঝুঁকি রয়ে গেছে তাই এ বিষয়ে সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।
‘মার্স’ এবং ‘সার্স’ পরিবারের এই নতুন করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে এখনও পুরোপুরি সবকিছু জানা যায়নি। নতুন এই করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ হলো জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট। এর থেকে নিউমোনিয়া, তারপর কিডনি ফেইলিউর হওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯-এনসিওভি। ভাইরাসটি এখনও ‘স্টেবল’ অবস্থায় আছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘মৃদু’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে ভাইরাসের সক্ষমতা দ্রুত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মনিটর করছে, যে এর থেকে মারাত্মক পরিস্থিতি হতে পারে কিনা। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুদিন আগের একটি জরুরি বৈঠকে ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি মহামারী ঘোষণা করা হবে কি না সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসেনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন এবং আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকে একটি কার্ড দেওয়া হচ্ছে এবং নতুন এই করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ থাকলে তাদেরকে ১৪ দিনের মধ্যে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। আর কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে যান তা হলে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যও পর্যাপ্ত রিএজেন্ট রয়েছে এবং পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানা যাবে। বিমানবন্দরসহ দেশের সব স্থলবন্দরগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে এই পূর্ব সতর্কাতাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি আগে থেকে প্রস্তুতি ও যথেষ্ট সচেতনতার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে।