শরণখোলার সাউথখালীতে দিনে ২বার জোয়ারে ভাসে ৩ শতাধিক পরিবার

0
329

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস:
শরণখোলায় জোয়ারে দিনে দুইবার ভাসছে সাউথখালীর বগী-গাবতলার তিন শতাধিক পরিবার। বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে । বসত ঘরের মধ্যে হাঁটু পানি। মানুষের রান্না-বান্না হয় না। গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরমে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাউথখালী, বগী, গাবতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে যাচ্ছে । এসময় গাবতলা গ্রামের মোহাম্মদ খান, কামাল হাওলাদার, বগী সাতঘর গ্রামের মাহাবুল হাওলাদার আবু সাইদ হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, ফুলমিয়া হাওলাদারসহ ভুক্তভোগীরা জানান, তারা প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে ভাসেন। ঘরের মধ্যে পানি উঠে যায়। চুলায় পানি ওঠায় অনেকের বাড়িতে রান্না-বান্না হয়না।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মন্ত্রী এসে বাঁধের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কোনো খবর নেই। এখন পানিতে ডুবে মরতে হচ্ছে আমাদের। এভাবে কোনো মানুষ বসবাস করতে পারেনা।
বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত ও দক্ষিণ সাউথখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন জানান, তাদের দুই ওয়ার্ডের বলেশ্বর নদীসংলগ্ন তিন শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগের শেষ নেই। জোয়ারের পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। আম্ফানের পর এ পর্যন্ত তিন দফা গ্রাম তলিয়েছে। বলেশ্বর পারের তিন সহ¯্রাধিক মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তারা দ্রুত বাঁধের কাজ শুরুর দাবি জানান।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ভাঙ্গনকবলীত বগী-গাবতলার দুই কিলোমিটার এলাকা সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে রিংবেড়িবাঁধ দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রাথমিক জরিপ করেছেন। শিগগিরই কাজ শুরু হতে পারে।