ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পেলেন আরচার রোমান সানা

0
288

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : বিশ্ব আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন, এশিয়া আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় এবং গত ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে রিকার্ভ পুরুষ একক, পুরুষ দলগত ও মিশ্র দলগতে তিনটি স্বর্ণপদক জয়ী তীরন্দাজ রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। মঙ্গলবার খিলগাঁওস্থ আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েক এর ব্যাজ পরিয়ে দেন আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাহবুব আরা গিনি এমপি, আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আসিফ ইকবাল, পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) নুরুল হাসান ফরিদী, উপ-পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির, বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও আসাদুজ্জামান কোহিনুরসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে আনসার ও ভিডিপির ১৪৪ জন ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অংশ নেন। যার মধ্যে একক ও দলগত মিলিয়ে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রৌপ্য ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদক জয় করে সংস্থার ক্রীড়াবিদরা। এসব ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দেয়া হয় মঙ্গলবার। অনুষ্ঠানে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়া হয়। একক ইভেন্টের স্বর্ণ জয়ীদের এক লাখ, রৌপ্য জয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন রোমান সানা। প্রাইজমানি পেয়ে আনন্দিত দেশ সেরা এই তীরন্দাজ বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই প্রাইজমানি অনেক প্রেরণার। এখন থেকে আমি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পেয়ে আরো ভালো বেতন পাবো। এই পুরস্কার অনেক বেশি প্রেরণার।’ আনসারের ডিজি মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ এ সময় বলেন, ‘ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা প্রতি বছরেই ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এসএ গেমসেও সাফল্য অর্জন করায় আমরা সংবর্ধনার আয়োজন করেছি। বিদেশের মাটিতে বেশ ক’বার বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তীরন্দাজ রোমান সানাকে আমরা ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। সামনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। ওই গেমসে আনসার ফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশা করছি। যারা পদক জিতবে তাদের জন্যও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।’ সাংসদ মাহবুব আরা গিনি বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের অংশীদার হবো। আমাদের ইচ্ছা খেলাধূলা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া।’ এসএ গেমসের সেফ দ্য মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, ‘এক সময় আনসারে ক্রীড়াদল গঠনের সময় আমিও ছিলাম। ফলে এই সাফল্যের কিছুটা হলেও আমি দাবীদার। এমন অর্থ পুরস্কার পেলে ক্রীড়াবিদরা আরও উৎসাহিত হবেন।’ বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘এসএ গেমসে কৃতিত্ব অর্জন করা ক্রীড়াবিদদের সিংহ ভাগ আনসার ও ভিডিপির। ক্রীড়াঙ্গনের দুঃসময়ের সঙ্গী আনসার। কারণ তৃণমূল থেকে ক্রীড়াবিদরা এসে প্রথমেই আশ্রয় পায় আনাসরে। তাই আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’