বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের পদত্যাগ

0
286

খুলনাটাইমস ডেস্ক: বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস রোববার পদত্যাগ করেছেন। বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে দেশটিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছিল। এ প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। টেলিভিশন ভাষণে মোরালেস বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। ’ এ ঘোষণার পর পরই রাজধানী লা পাজের রাস্তায় জনগণ উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা আতশবাজি পুড়িয়ে এবং দেশটির লাল, হলুদ ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে খবরটি উদযাপন করে। নির্বাচনে প্রধান বিরোধী প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেসা বলেন, ‘বলিভিয়ানরা বিশ্বকে একটি শিক্ষা দিল। আগামীকাল বলিভিয়া হবে একটি নতুন দেশ।’ এদিকে ধু¤্রজালের কারণে, ২০ সদস্যের আইনপ্রণেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল মেক্সিকান রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছে। মেক্সিকো ঘোষণা করেছে তারা মোরালেসকেও আশ্রয় দিতে পারে।
এদিকে, রোববার পুলিশের ঘোষণায় বলা হয়েছে, তারা দেশটির নির্বাচনী আদালতের প্রধান মারিয়া ইগুইনাকে গ্রেফতার করেছে। বিরোধী পক্ষ এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিল। মোরালেসের দীর্ঘদিনের মিত্র কিউবা, ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিলের বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ একে ক্যু হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে। মোরালেস বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। তিনি ২০০৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।
পদত্যাগের ঘোষণাকালে তিনি বলেন, আমার অপরাধ আমি একজন আদিবাসী। একজন কোকো চাষী।
তিনি আরো বলেন, জীবন এখানেই শেষ নয়, লড়াই চলতে থাকবে। সরকারপন্থী প্রতিবাদকারী যারা বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল তাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি পদত্যাগ করছি যেন বিরোধীরা আমার ভাইদের লাথি মারতে না পারে। গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বির্তকিত নির্বাচনে মোরালেস খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। কিন্তু বিরোধীপক্ষ ভোট জালিয়াতির অভিযোত তুলে রাস্তায় নামে। এ সময়ে তিনজন নিহত ও শত শত লোক আহত হয়। এছাড়া দ্য অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস যাচাই বাছাই শেষে নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে রিপোর্ট প্রকাশ করে।
এদিকে, মোরালেস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে নির্বাচনের ডাক দেন। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দলে যোগ দিয়ে মোরালেসের পদত্যাগের দাবি জানায়।
জেনারেল উইলিয়ামস কালিমান এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেন, বলিভিয়াকে রক্তপাত ও লড়াইয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক কমান্ড ও পুলিশ যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে।
আনেজ (৫২) সিনেটের ডেপুটি স্পিকার। সাংবিধানিক নিয়মে তিনি দেশটির অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হবেন। আইনপ্রণেতারা এ প্রক্রিয়া শুরু করতে গতকাল মঙ্গলবার মিলিত হচ্ছেন।
এদিকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্সেলো এবরাদ বলেছেন, তিনি মোরালেসের কাছ থেকে আশ্রয়ের মৌখিক ও আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেয়েছেন। তার এ অনুরোধ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে দেশটিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছিল। এর প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার পর রোববার মোরালেস টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। ’
এ ঘোষণার পর পরই রাজধানী লা পাজের রাস্তায় জনগণ উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা আতশবাজি পুড়িয়ে এবং দেশটির লাল, হলুদ ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উল্লাস করে।
নির্বাচনে প্রধান বিরোধী প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেসা বলেন, ‘বলিভিয়ানরা বিশ্বকে একটি শিক্ষা দিল। আগামীকাল বলিভিয়া হবে একটি নতুন দেশ।’
মোরালেসের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ কিউবা ও ভেনিজুয়েলা এবং ব্রাজিলের বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ একে ক্যু হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে।