প্রতিক্ষার কাউন্সিল আজ : প্রস্তুত ১৪ নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা-কর্মীরা

0
328

খালিশপুর প্রতিনিধি ঃ

আয়তন ও ভোটার সংখ্যার দিক দিয়ে খালিশপুরের সর্ববৃহৎ ১৪ নং ওয়ার্ড। নিম্ন,মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেনি পেশার মানুষের চমৎকার মিশেলে পরিবেষ্টিত অত্র ওয়ার্ডের সকল কর্মী দলের নিবেদিত প্রাণ।

দীর্ঘদিন যাবৎ কাউন্সিল না হওয়ার কারনে সাংগঠনিক কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে কোন দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই এমনটাই জানাযায় ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে। এদিকে আজকের অনুষ্ঠিত কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে পূর্ণদ্যমে কাজ করার মানসিকতা যোগাবে এমন কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রয়েছেন ওয়ার্ডের নেতা কর্মী সমর্থকেরা।

১৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে সভাপতি প্রার্থী ৭ জন ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ৩ জন। বর্তমান সভাপতি কাজী এনায়েত আলী আলো সহ অন্যরা হলেন শেখ আরিফুল আলম সান্টু, শেখ মোঃ ফররুখ আহমেদ খবির,শেখ আব্দুল মান্নান,শেখ শহিদুল ইসলাম লিটু,মোঃ ইসমাইল হোসেন,মোঃ মোল্লা আরিফুজ্জামান। সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান জোমাদ্দার সহ আরো হলেন মৃধা বেলায়েত হোসেন ও শেখ সাহিদুল ইসলাম।

কাজী এনায়েত আলী আলো। তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি তার চলতি দায়িত্বেই প্রার্থী হবেন বলে জানান। ওয়ার্ডে কর্মী সহ সকলের প্রিয় এই ব্যাক্তি অত্যন্ত সততা,নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তার পরম প্রিয় এই সংগঠন ও কর্মী সমর্থকদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে চলেছেন দক্ষতার সাথে। তিনি খালেদা বিরোধী আন্দোলন সহ ১/১১’র মতো কঠিন সময়েও দলের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন তিনি কারো প্রতি কোন বিষোদগার না করে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,কাউন্সিল বা সিলেকশন নের্তৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি তা মেনে নেবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান,পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ওয়ার্ডের ১১ টি ইউনিটকে আরো শক্তিশালি করতে সচেষ্ট থাকবেন।

শেখ আরিফুল আলম সান্টু। সাবেক এই যুবলীগ নেতা এবারে তিনি সভাপতি পদপ্রার্থী বলে জানান। যুবলীগ থেকে উঠে আসা পরীক্ষিত এই নেতা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রায় ৩০ বছরের বর্নাঢ্য এক সময় পার করে ফেলেছেন বলে জানান। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ ও খালেদা বিরোধী অন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। দলের দূর্দিনে কাজ করার জন্য মামলা-হামলার শিকার হন। তিনি নির্বাচিত হতে পারলে সকল ইউনিট কমিটিকে সাথে নিয়ে মাদক সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করা সহ ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখবেন জানান।

শেখ মোঃ ফররুখ আহমেদ খবির। আড়ংঘাটা থানা কৃষকলীগের ও ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি । তিনি ৮১ সালে ছাত্ররাজনীতির মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এবারের কাউন্সিলে তিনি সভাপতি পদপ্রার্থী। এই নেতার দাবী তিনি বহু চরাই উৎরাই পেরিয়েছেন। কিন্তু কোনদিন কোন মোহ তাকে ছুঁতে পারেনি। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আগামীদিনেও দল,কর্মী ও সংগঠনের জন্য কাজ করতে চান।

বর্তমান সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান জোমাদ্দার তিনি তার চলতি দায়িত্বেই প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানান। তিনি পূর্বেও ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত মেধা,ধৈর্য্য ও সুনামের সাথে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত বলে জানান। তিনি এরশাদ-খালেদা বিরোধী আন্দোলন সহ ১/১১’র মতো কঠিন সময়েও দলের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন,একটা পদে থাকার মানে হলো সকলের আমানত রক্ষাকরা যা তিনি করে চলেছেন। কারো সাথে কখনো কোন রূঢ় আচরন তিনি করেছেন এমন নজির নেই বললেই চলে। তিনি পূর্বের ন্যায় আগামীতেও কর্মী ও সংগঠনের সকলকে একত্র রেখেই সন্ত্রাস-মাদক-চাঁদাবাজি বন্ধের যে কর্মকান্ড চালু রেখেছিলেন তা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর বলে মন্তব্য করেন। দীর্ঘ সময়ে রাজনীতিতে যুক্ত এই নেতা বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার সুফলকে মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে চান।

মৃধা বেলায়েত হোসেন। তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ২০১২ সালের ক্উান্সিলে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তিনি জানান,কয়েক যুগেরও অধিক সময় ধরে  তার প্রিয় সংগঠন আ’লীগের জন্য রাজপথের সকল মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। বহু আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা এই নেতা  স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী সহ আওয়ামী দলীয় সকল আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার জন্য তৎকালীন সময়ে  মামলার শিকার হন বলে জানান। তিনি আরো বলেন তৃনমূল পর্যায়ের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করা সহ সুন্দর একটি কমিটি উপহার