নেপিডোর গণমাধ্যমে আইসিজের আদেশ

0
250

খুলনাটাইমস বিদেশ : রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের (আইসিজের) অন্তর্র্বতীকালীন আদেশের খবর মিয়ানমারের শীর্ষ কয়েকটি গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার অফিসের যে ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতা আছে, সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো খবর বা পোস্ট দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই আদেশ ঘোষণার পর পরই খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করে মিয়ানমার টাইমস। তবে আদালতের আদেশের চেয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে লেখা নিবন্ধে কী বলেছেন, সেটাই গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও উঠে এসেছে মিয়ানমার টাইমসের ওই প্রতিবেদনে। আইসিজে আদেশ ঘোষণার আগে প্রকাশ হওয়া নিবন্ধে সু চি দাবি করেন, ‘রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ হতে পারে, কিন্তু গণহত্যা ঘটেনি। রোহিঙ্গারা নির্যাতনের বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে। মূলত বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের তদন্তকারীদের ‘অপ্রমাণিত আখ্যানের’ শিকার মিয়ানমার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অপরাধ তদন্তের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই অপ্রমাণিত বিবৃতির ভিত্তিতে মিয়ানমারের নিন্দা করেছে।’ রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ীদের শাস্তি মিয়ানমার নিজস্ব আইনেই দিতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি। খবরে দেশটির কয়েক জন সামরিক নেতার বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। মেজর জেনারেল থাং নাইং বলেন, ‘আমাদের যেভাবে দোষারোপ করা হয়েছে, আমরা তেমন নই। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমাদের সেটাই করতে হবে, যা আমাদের করা প্রয়োজন।’ আইসিজের সিদ্ধান্ত নয়, বরং সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। দেশটির আরেকটি প্রভাবশালী পত্রিকার শিরোনামে স্থান পেয়েছে আইসিজের আদেশের প্রসঙ্গটি। তবে এই গণমাধ্যমের দ্বিতীয় খবরটি ছিল, রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান। আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর জাপানই প্রথম সু চি সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কথা জানায়। তবে আইসিজের আদেশের খবরটি মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে এ নিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া বিবৃতিটি তারা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া মিয়ানমারের দ্য স্ট্যান্ডার্ড টাইমস ডেইলি, ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে এই খবরটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে।