ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

0
480

খুলনাটাইমস: কোনো ধরনের জালিয়াতি বা অনিয়মের খবর ছাড়াই শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। আর এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়। ‘গ’ ইউনিটে এ বছর ১২৫০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৮জন। গত দুই বছর প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়মে ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঙ্গে ৪৫ নম্বরের প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় বরাদ্দ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো আখতারুজ্জামান। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটেনি। এবার নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ‘প্রশ্ন ফাঁসকারী ও জালিয়াত চক্রের ফাঁদে’ পা না দিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহŸান জানান উপাচার্য। পরীক্ষায় যে কোনো ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও দায়িত্ব পালন করে। প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, কোনো ধরণের অনিয়ম বা অভিযোগ আমরা পাইনি। পরীক্ষা সর্বোচ্চ সুষ্ঠু হয়েছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। তিনি বলেন, সকালে বৃষ্টির কারণে ভর্তিচ্ছুদের খানিকটা বিড়ম্বনা হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তিন-চারজন করে অভিভাবক এবং অনেকের গাড়ির ড্রাইভার আসায় বৃষ্টিতে জড়িলতার পড়তে হয়েছে তাদের। কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তাদের প্রশ্নপত্রের আলাদা কোনো কপি দেওয়া হয়নি। প্রশ্নপত্রের সঙ্গেই উত্তর দেওয়ার জায়গা ছিল। এবারের প্রশ্ন গত কয়েক বছরের তুলনায় সহজ হয়েছে বলে মনে হয়েছে তাদের। এ পরীক্ষায় প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য নম্বর ছিল ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাঁটা যাবে ০.২৫ নম্বর। লিখিত অংশে প্রশ্নের মান ২ থেকে ৫ এর মধ্যে। নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ অন্তত ৪৮ নম্বর পেলে এবং বিষয়ভিত্তিক নির্ধারিত নূন্যতম নম্বর পেলে তাকে ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হবে। তবে একজন শিক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন কি না তা নির্ভর করবে শূন্য আসনের সংখ্যার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ইউনিটে সাত হাজার ১১৮টি আসনের বিপরীতে এবার ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯১ জন প্রার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছেন। এই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতায় থাকছেন। চারুকলা অনুষদের অধীনে ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান অংশের ভর্তি পরীক্ষা হবে শনিবার। এই ইউনিটের অঙ্কন পরীক্ষা হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর ক-ইউনিট, ২১ সেপ্টেম্বর খ-ইউনিট এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (ধফসরংংরড়হ.বরং.ফঁ.ধপ.নফ) থেকে জানা যাবে।