ডুমুরিয়ায় বাঁধভাঙ্গা পানিতে ফের বাশতলা-লতাবুনিয়া গ্রাম প্লাবিত

0
492

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ না থাকায় বাশতলা-লতাবুনিয়া গ্রাম ২টি ফের প্লাবিত হয়েছে। ঠিক মরার উপর খাড়ার ঘা। ১৫দিন আগে আম্ফানের প্রভাবে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ঘেংরাইল নদীর পানিতে সম্পূর্ণভাবে নিম্মজিত হয় গ্রাম ২টি। জীবন বাঁচাতে বানভাসিদের আশ্রয় মেলে স্কুল বারান্দায়। খেয়ে বা না খেয়ে দিন যায় তাদের। একপর্যায়ে তাদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামত করা হয়। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে সর্বনাশা ঘেংরাইল নদীর পানির চাপে আবারো সেখানে ভেঙ্গে এলাকাটি প্লাবিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শন করেন খুলনা-৫ সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এসময়ে সাথে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন ও উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাশ।
জানা যায়, ডুমুরিয়ায় উপজেলার সাহস ইউনিয়নাধীন ঘেংরাইল ও ভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী একটি দ্বীপে অবস্থিত বাশতলা ও লতাবুনিয়া গ্রাম। এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় গ্রাম দুইটি বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ। নড়বড়ে রিং বাঁধের কারণে বারবারই ভাঙ্গন কবলে পড়ছে। গত ২০ মে ঘুর্ণিঘড় আম্ফানের প্রভাবে ঘেংরাইল নদীর পানির চাপে রক্ষাবাঁধের কয়েকটিস্থানে ভেঙ্গে গ্রাম দুইটি প্লাবিত হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বানভাসি প্রায় ৪’শ পরিবার আশ্রয় নেয় লতাবুনিয়া স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায়। খেয়ে না খেয়ে দিন গেলেও তারা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধটির ক্ষতিগ্রস্থ স্থান মেরামত করেন। কিন্তু চলমান পূর্ণিমার গোনে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বাঁধটি ফের ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বাশতলা এলাকার ডা: জোতিন্দ্রনাথ গাইন, শিক্ষক বনমালি মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, গত পূর্নিমা গোনে গ্রামরক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে আবারও আমাদের গ্রাম দুটি তলিয়ে গেছে। ্এখনও আমরা বাড়ী ঘরে ফিরতে পারেনি। এতে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।
এ প্রসঙ্গে খুলনা-৫ সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ স্থান নদীপথে ঘুরে ঘুরে দেখেছি এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছি। বাঁশতলা ও লতাবুনিয়া গ্রাম বাঁচাতে হলে টেকসই বেড়িবাঁধের একান্ত প্রয়োজন। এমপি আরো বলেন, এই মুহুর্তে জরুরীভাবে এডিপিসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ বরাদ্দে এবং এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে আবারো বাঁধ মেরামত করতে হবে। পরবর্তিতে এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করার আশ্বস্ত করেন তিনি।