খুলনাটাইমস: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের বিরুদ্ধে রাজনীতি করলে বিএনপির পরিধি ছোট হতে হতে একসময় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিকে বাস্তবতা বিবর্জিত রাজনীতি বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাস্তবতা বিবর্জিত রাজনীতি, জনগণের প্রতিপক্ষমূলক রাজনীতি, জনগণের বিরুদ্ধে রাজনীতি, জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করার যে রাজনীতি, জনগণকে জিম্মি করার যে রাজনীতি, এটি করতে গিয়ে তাদের দলটি এখন জিম্মি হয়ে গেছে। এই রাজনীতি পরিহার না করলে বিএনপির পরিধি দিনে দিনে ছোট হচ্ছে, সেটি আরও ছোট হবে এবং বিএনপি একসময় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। আমরা সেটি চাই না। আমরা চাই, বিএনপি একটি শক্তিশালী দল হিসেবে টিকে থাকুক এবং জনগণের জন্য রাজনীতি করুক। কারণ, দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন আছে। সেজন্যই আমরা চাই বিএনপি শক্তিশালী হোক। ‘আওয়ামী লীগ থেকে অনেকেই বিএনপিতে চলে যাবে,’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন -ভবিষ্যতে নাকি আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে লোক চলে যাবে, আসলে তাদের দল থেকে যেভাবে দল ত্যাগ শুরু হয়েছে, এটিকে আড়াল করার জন্য তিনি এধরনের বক্তব্য দিয়ে আত্মতুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার কথা শুনে অনেকেই বলছেন, মির্জা ফখরুল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো কথা বলছেন। কারণ, গয়েশ্বর বাবু অনেক সময় বেফাঁস ও অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। তিনি গয়েশ্বরের মতো হয়ে গেলেন নাকি, এই প্রশ্ন অনেকেই করছে। হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের দল থেকে অনেকেই দল ত্যাগ করেছে। আরও অনেকে দল ত্যাগ করবে। আসলে বিএনপি নেতারা বিএনপিকে নিয়ে প্রচ- হতাশ। সেখানে নিজের মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা নেই। এমনকি ফখরুল সাহেবেরও সেখানে মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা নেই। তারা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে সমুদ্রের ওপার থেকে। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাস্তবতার কোনও মিল নেই। এই কারণে আজকে বিএনপির এই দৈন্যদশা। সুতরাং, এসব কথা বলে আত্মতুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের দলকে তারা ঠেকাতে পারবে না। আওয়ামী লীগে অনেক বিএনপি নেতা যোগ দিতে চান, দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা যে কাউকে আমাদের দলে নিতে রাজি না। অবশ্যই আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে মানুষ আসতে পারবে না, সেরকম নয়। কিন্তু বিএনপির চিহ্নিত লোকজনকে আমাদের দলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। নেবো না। স্মরণ সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
