খুলনা সিটি মেয়রের ইটের মান পরীক্ষার ছবি ‘ভাইরাল’

0
4748

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে চারটি ছবি আপলোড করেন। যার ক্যাপশন তিনি লিখেন ‘মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ড্রেন এ ব্যবহৃত ইটের মান পরীক্ষাকালে।’ মুহুর্তের মধ্যে ছবিটিতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারে শেয়ারে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। রাত আটটা পর্যন্ত ছবিগুলোতে এক সহস্রাধিক লাইক, ৮২ কমেন্ট এবং ১২২ জন ব্যক্তি ছবিগুলো শেয়ার করেন। এছাড়া মেয়রের কর্মকাণ্ডের ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে ছবিগুলো বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ এ পোস্ট করা হলে লাইক ও কমেন্টের ঝড় দেখা যায়।
জানা গেছে, তালুকদার আব্দুল খালেক প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালীন খুলনা নগরীর সকল কাজে স্বচ্ছতা এনেছিলেন। তার চতুর্মুখী নেতৃত্বের কারণে কেসিসি’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে আতংকে পরিণত হয়েছিলেন। অসাধু ঠিকাদাররাও তার কর্মকাণ্ডের কারণে সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমান মেয়াদেও নিজেই উন্নয়নকাজগুলো তদারকি করেন। হুটহাট চলে যান কাজের সাইডে, কোন অনিয়ম-গাফিলতি হচ্ছে কি না নিজেই তদারকি করেন। যার কারণে নগরবাসীর আস্থাভাজন হিসেবে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পোস্ট করা ছবিতে কমেন্টকারীদের মধ্যে শেখ শিমুল লিখেছেন, ‘মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে না, কিন্তু কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকা যায়।’
কল্লোল কর লিখেছেন, ‘মাননীয় মেয়র মহোদয় আগের রূপ ফিরে আসুন। ঠিকাদারদের কাছে তিনি এক আতংকের নাম।’
সজল কুমার দাস লিখেছেন, ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র, আধুনিক নগর গড়ার রূপকার খালেক ভাই, আপনি ই পারবেন খুলনাকে আধুনিক নগরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে।’
কামাল খন্দকার লিখেছেন, বর্তমান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া “নগর পিতা” তালুকদার আব্দুল খালেক ভাইকে দেখেছে।’
তালুকদার রিনা সুলতানা পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জনগণের নেতা, সর্বস্তরের মানুষের আস্থার নাম, তালুকদার আব্দুল খালেক।’
সুদিপ্ত বিশ্বাস লিখেছেন, ‘ এই সেই মেয়র, যার দাপটে কাঁপতো দুর্নীতিগ্রস্ত কন্টাক্টর।’
মেহেদী হাসান রাসেল লিখেছেন, ‘তিনি যে কাজ করেন, এমনভাবে করেন যাতে দশ বছরেও সে কাজে হাত দেয়া না লাগে।’
কানাই মণ্ডল লিখেছেন, ‘জাতীর পিতার আদর্শিক এই সূর্য সন্তান, খুলনা নগরবাসীর প্রকৃত উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া শ্রেষ্ঠতম পুরস্কার, প্রিয় নগরপিতা হাজার বছর বেঁচে থাক।’