ইতিহাসে প্রতিদিন

0
614

(সিকানদার আবু জাফরের মৃত্যু)
কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সাংবাদিক সিকানদার আবু জাফরের আজ মৃত্যুদিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে আধুনিক সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তার আমাদের সংগ্রাম চলবেই গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করতো। অনেক গণসঙ্গীত লিখেছেন তিনি। ১৯৬৬ তে নাটকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন সিকানদার আবু জাফর। তার জন্ম ১৯১৯ সালে খুলনার তেতুলিয়া গ্রামে। ১৯৩৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন স্থানীয় তালা বি.দে, ইন্সটিটিউশন থেকে। এরপর ভর্তি হন কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে। অধ্যয়নকালেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন । কলকাতার টালিগঞ্জের হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুষ্প সেনকে বিয়ে করেন ১৯৪৬ সালে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ১৯৭১ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মামাতো বোন কাজী রোজীকে । দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকায় এসে রেডিও পাকিস্তানে চাকরি নেন । ‘৫৩ তে দৈনিক ইত্তেফাকে সহযোগী সম্পাদক এবং ‘৫৪ তে দৈনিক মিল্লাতের প্রধান সম্পাদক হিসেবে চাকরি করেন । ৫৭ তে মাসিক সমকাল পত্রিকা প্রকাশ করেন। ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা ছিলো তার। ৭১-এ স্বাধীন বাংলা সরকারের পক্ষে ভূমিকা রাখেন। তার সাহিত্য কর্মের মধ্যে (উপন্যাস)-মাটি আর অশ্রু, পূরবী, নতুন সকাল, নবী কাহিনী, (নাটক)-সিরাজউদ্দৌলা, মহাকবি আলাওল, (কবিতা)-প্রসন্ন প্রহর, বৈরীবৃষ্টিতে, তিমিরান্তক, (অনুবাদ)-রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম উল্লেখযোগ্য।

১৮০২ সালের এই দিনে নরওয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ নাইলস্ব্জ€Œ হেনরিক এবেল জন্মগ্রহণ করেন। গণিত ও অঙ্ক শাস্ত্রের ব্যাপারে তার ছিল ভীষণ ঝোঁক। ২০ বছর বয়সেই তিনি এ শাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং শিক্ষকতা শুরু করেন। গণিতের বিভিন্ন বিষয়ে তার দক্ষতা ও পান্ডিত্যের কারণে তিনি এ শাস্ত্রের অন্যতম গবেষক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৮২৯ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

১৯৬০ সালের এই দিনে আফ্রিকার দেশ বোরকিনাফাসো স্বাধীনতা লাভ করে। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে এ দেশটি উপনিবেশবাদী ফ্রান্সের দখলে চলে যায়। ১৯৫৮ সালে এ দেশটি স্বায়ত্ব শাসন লাভ করে। এর দুই বছর পর ঠিক এই দিনে বোর্কিনাফাসো পূর্ণ মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করে এবং জাতিসঙ্ঘের অন্তর্ভুক্ত হয়। বোর্কিনাফাসোর আয়তন ২৮৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার। পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত এ দেশটির প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে মালি, ঘানা, আইভোরি কোষ্ট, টোঙ্গো, নাইজার ও বেনিন।

১৯৭৭ সালের এই দিনে ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমির আব্বাস হোয়াইদাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তার আগের প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী মনসুর ইরানের ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনী(র:)এর ইসলামী আন্দোলনকে দমন করার জন্য ইমাম খোমেনীকে নির্বাসনে পাঠায়। তারই নির্দেশে ইরানে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাপেটুলেশন আইন অনুমোদীত হয়। এসব নানা কারণে তার উপর ক্ষীপ্ত ইরানের বিপ্লবী জনতা তাকে হত্যা করে। হাসান আলী মনসুরের পর ইরানের তৎকালীন শাহ সরকারের একান্ত অনুগত এবং মার্কিন নীতির পৃষ্ঠপোষক আমির আব্বাস হোয়াইদা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়। হোয়াইদা ইরানে আমেরিকার হীন স্বার্থ রক্ষা এবং ইরানের বিপ্লবী জনতাকে দমনের জন্য সব ধরণের কূটকৌশল প্রয়োগ করে। কিন্তু ফার্সী ১৩৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইরানের শাহ সরকার নিজেকে মুক্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার কর্মসূচীর পৃষ্ঠপোষক হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। আর এ জন্য তিনি তার একনিষ্ঠ সহযোগী হোয়াইদাকে তার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে। এর দেড় বছর পর ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হয় এবং বিপ্লবী আদালতে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইরানী জনতার উপর ব্যাপক অত্যাচার ও নীপিড়নমূলক আচরণ এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তাকে ফার্সীকাষ্ঠে ঝোলানো হয়।

১৯৮৭ সালের এই দিনে ইরানের বিমান বাহিনীর পাইলট মেজর জেনারেল আব্বাস বাবায়ী ইরাকের আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় শাহাদাত বরণ করেন। মেজর জেনারেল আব্বাস বাবায়ী ছিলেন ইরানের অত্যন্ত সাহসী, ইমানদার ও নিষ্ঠাবান বৈমানিক। তিনি ফার্সী ১৩২৯ সালে ইরানের গাজভীন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি ইরানের সেনা বাহিনীতে যোগ দেন এবং বিমান চালনার প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে সমাপ্ত করেন। ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর ইরানের উপর ইরাকের আগ্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বেশ কিছু বিমান অভিযান পরিচালনা করেন এবং অবশেষে ফার্সী ১৩৬৬ সালের ১৫ই মোরদাদ শাহাদাত বরণ করেন।

১৪২৫ বছর আগে এই দিনে রাসূলে খোদার দৌহিত্র ইমাম হোসেইন(আ:) এ ধরাপৃষ্ঠে আগমণ করেন। জীবনের প্রথম ছয়টি বছর তিনি রাসূলে খোদার সান্নিধ্যে অতিবাহিত করেন। তিনি এমন এক পরিবারে বেড়ে ওঠেন যে পরিবার ছিল নৈতিকতা, সীমাহীন কল্যাণ ও পূণ্যের আধার। নবীজির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা হযরত আলী(আ:) ও মা ফাতেমার মত আলোকীত মানব মানবীর দিক নির্দেশনা ও তত্বাবধানে ইমাম হোসেইন(আ:) সৃষ্টির গুড় রহস্যের সাথে পরিচিত হন এবং উন্নত মানবীয় গুনাবলীতে বিকশিত হয়ে ওঠেন। তিনি আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে নানা কুসংস্কার ও বিকৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। বড় ভাই ইমাম হাসান(আ:)এর শাহাদাতের পর তিনি মুসলিম উম্মার দিক নির্দেশনার দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নেন। তিনি ইসলামকে স্বমহিমায় ও অবিকৃত রাখার লক্ষ্যে হিজরী ৬১ সালে কারবালা প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাতবরণ করেন। আর এ শাহাদাতের মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন ইসলামের ভীতকে শক্তিশালী করেছেন তেমনি অন্যদিকে আমাদের এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে অন্যায়কারী ও জালিমের সাথে কখনও আপোষ নয়। ইরানে ইমাম হোসাইন(আ:) এর জন্ম দিবসকে বেশ আড়ম্বরের সাথে উদযাপন করা হয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ইমাম হোসেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের আদর্শ ও চেতনাকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দেশের জাতীয় স্বার্থ, স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। এ মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে তার সম্পর্কে রাসূলে খোদা(সা:) এর একটিা বাণী উদ্বৃত করছি। তিন বলেছেন, নিশ্চয়ই হোসেইন হেদায়েতের প্রদীপ এবং মুক্তির তরী।

প্রহসনমূলক বিচারে অভিযুক্ত মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি কার্যকর (১৭৭৫)
ফ্রান্সে জমিদারী প্রথা বিলোপ (১৭৮৯)
সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদের অন্যতম প্রবক্তা ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের মৃত্যু (১৮৯৫)
বঙ্গদেশ বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গ আইন ঘোষিত (১৯০৫)
জার্মান ত্যাগ করে আইনস্টাইনের আমেরিকায় আশ্রয় গ্রহণ (১৯২২)
তুরস্কে বহু বিবাহ নিষিদ্ধ (১৯২৪)
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম নভোচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের জন্ম (১৯৩০)
শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জোহার জন্ম (১৯৩৪)
হলিউডের বিখ্যাত চিত্রনায়িকা মেরেলিন মনরোর আত্মহত্যা (১৯৬২)
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৬৩)
বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের বহুল আলোচিত মহিলা বৈমানিক সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানার মৃত্যু (১৯৮৩)
স্যার মাইকেল সোমারে পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত (২০০২)