ফলোআপ: আশাশুনিতে সেভ ইসলামী গ্রুপ লিঃ এর গ্রাহকরা ফিরে পাবে তাদের জমানো অর্থ?

0
506

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
আশাশুনিতে সেভ ইসলামী গ্রুপ লিঃ এর খপ্পড়ে পড়ে কোটি কোটি টাকা খোয়া গেলো হাজার হাজার গ্রাহকের। জানাগেছে, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও মিষ্টি কথায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে গচ্ছিত কষ্টের টাকা সাধারণ মানুষ তুলে দেয় সেভ ইসলামী গ্রুপ লিমিটেডের কর্মকর্তাদের হাতে। কয়েক বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে হঠাৎ রাতের আধারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দেওয়াতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ করা হাজার হাজার গ্রাহক। তাদের তিল তিল করে গচ্ছিত কষ্টের টাকা আদৌও কি ফেরত পাবে? এমনই প্রশ্ন এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে। সেভ গ্রুপ লিঃ প্রতিষ্ঠানটির নিজ নামে সিটি সেন্টার, সেভ কমপ্লেক্স, গ্রীণ রিভারভিউ সিটি, গ্রীণ টাচ প্রোপার্টিজসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে ছাপানো লিপলেট বিতরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। এছাড়াও মেয়ের বিবাহের জন্য “বিবাহ প্যাকেজ” অধিক লভ্যাংশ দেখিয়ে মাসিক ডিপিএস, হজ্জ করার জন্য “হজ্জ প্যাকেজ” অধিক মুনাফা প্রদানের শর্তে এক কালিন “এফডিআর” সহ নানান লোভনীয় অফারে অধিক মুনাফা প্রাপ্তির আশায় সাধারণ মানুষ হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল এমনকি ফসলী জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে টাকা ডিপোজিট করেছিলেন সেভ ইসলামী গ্রুপে। কিন্তু সম্প্রতি রাতের আধারে সেভ ইসলামী গ্রুপ লিঃ কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে হঠাৎ করে চলে গেছে আত্মগোপনে। আশাশুনিতে অবস্থিত সেভ ইসলামী গ্রুপের অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অফিসে মুল ফটোকে তালা ঝুলছে। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে গেলে ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক জানান, বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতাকারী হাতপাখা প্রতিক এর প্রার্থী ইসহাক আলী ও স্থানীয় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল আলিমের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে সেভ ইসলামী গ্রুপে গ্রাহকরা অর্থ সঞ্চয় করতে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সেভ ইসলামী গ্রুপের উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী ইসহাক আলীর তত্বাবধানে একাধিক মানুষ এজেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেভ ইসলামী গ্রুপ হঠাৎ করে গায়েব হওয়ায় একাধিক এজেন্টরাও কর্মকর্তাদের খুঁজতে বাড়ী ঘর ছেড়েছেন বলে একাধিক সূত্রে থেকে জানাগেছে। অন্যদিকে হামলা-মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকদের সাথে এজেন্টরা বিভিন্ন ভাবে ছলচাতুরী করে যাচ্ছেন বলেও জানাগেছে। এব্যাপারে সেভ ইসলামী গ্রুপের উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক ইসহাক আলী বলেন, সেভ গ্রুপের পরিচালকরা বিদেশ গিয়ে না ফেরার কারণে আমরা গ্রাহকদের স্বার্থে একটি কমিটি গঠন করেছি। আশা করছি আগামী ৬মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে গ্রাহকদের জমানো অর্থ ফেরত দিতে পারবো। এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, সেভ ইসলামী গ্রুপ নামের কোন প্রতিষ্ঠান এ উপজেলার এনজিও কমিটির তালিকায় নেয়। তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্যও নেই। তবে সেভ ইসলামী গ্রুপ যদি সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে থাকে, তবে গ্রাহকদের আইনের আশ্রয় নিতে হবে। একই সাথে অর্থ আত্মসাৎ অপরাধে সেভ ইসলামী গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রঘূ করা হবে।