স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবল বিশ্বকাপের চাপে পিষ্ট ক্রিকেট। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা, আর নেদারল্যান্ডস-আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ডকে নিয়ে চলছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এসব সিরিজের খোঁজ কয়জনই বা রেখেছে এই সময়ে?
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই উত্তেজনা আর বড় দলগুলোর হতাশায় শুরু। একের পর এক ম্যাচ শেষ হচ্ছে ড্র দিয়ে। পর্তুগাল-স্পেন ৩-৩, আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ১-১, ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ১-১, আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ১৮৫-১৮৫!
১৮৫-১৮৫ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আয়ারল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসের কোনও দলই খেলছে না বিশ্বকাপ।
নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড আর স্কটল্যান্ড।
নেদারল্যান্ডসের ডেভেন্টার স্পোর্টপার্কের এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ড।
ব্যাটিংয়ে নেমে স্কটিশ দুই ওপেনার রান তুলতে থাকেন দ্রুত। জর্জ মানসি করেন ২৫ বলে ৪৬ রান। আরেক ওপেনার কাইল কোয়েটজার খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস। তার ব্যাটে আসে ৪১ বলে ৫৪ রান।
দুই নম্বরে ব্যাট করতে এসে কালাম ম্যাকলয়েডও রান তোলার চেষ্টা করেন দ্রুত। তার ব্যাটে আসে ৩৯ বলে ৪৬ রান। শেষ দিকে ম্যাথু ক্রসের ব্যাটে ১৮ রানে ২০ ওভার শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮৫ রান।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ১ উইকেট করে নেন সিমি সিং, জর্জ ডকরেল আর বেরি ম্যাকার্থী।
স্কটল্যান্ডের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আইরিশদের দুই ওপেনারের একজন জেমস শেনন মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনারের পল স্টারলিং খেলেন মারকুটে ইনিংস। মাত্র ৪১ বলে করেন ৮১ রান।
আইরিশদের টপ অর্ডার কিছুটা নড়বড়ে দেখালেও মিডল অর্ডারে সিমি সিং, গ্যারি উইলসন আর কেভিন ওব্রেনের ইনিংস ম্যাচ টেনে নিয়ে যায় শেষ বল পর্যন্ত।
শেষ ওভারে জিততে হলে আয়ারল্যান্ডের লাগে ৭ রান। শেষ বলে লাগে ৩ রান। স্ট্রাইকে থাকা স্টুয়ার্ট থম্পসন শাফিয়ান শরিফের করা বলে তিন রান আর নিতে পারেননি।
২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের ইনিংস থামে স্কটিশদের সমান ১৮৫ রানেই।
স্কটল্যান্ডের শাফিয়ান শরিফ ও স্টুয়ার্ট হোয়াইটিংহাম নেন ২ উইকেট করে।
ফুটবল বিশ্বকাপের ভিড়ে ক্রিকেটে এমন একটা জমজমাট ম্যাচ হয়তো অনেকেই খেয়াল করেনি। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্রয়ের ভুত যে ক্রিকেটেও চেপেছে সেটা বলাই যায়।