মোঃ ইকবাল হোসেন,কপিলমুনি:
থানায় সাধারণ ডায়েরী করেও শেষ রক্ষা হল’না কপিলমুনির শহরতলী উত্তর সলুয়ার আলমগীর পরিবারের। স্থানীয় কথিত টালী কারখানা মালিক বাবুল মজলিশ গংয়ের সংঘবদ্ধ হামলায় রোযাদার মহিলাসহ অন্তত ৩ জন গুরুতর যখম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে।
ঘটনার সূত্রপাত ২৩ মে ২১’। পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের ধারে হরিঢালী ইউনিয়নের সলুয়ার কতিথ টালী কারখানার অবিরাম নির্গত দূষিত ধোঁয়ায় পার্শ্ববর্তী আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে আলমগীর সরদারের পোল্ট্রী ফার্মের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ঐসময় তার ফার্মের বেশ কিছু মুর্গী মারা যায়। বাধ্য হয়ে আলমগীর বাবলুর বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। যার নং-১১৭২। সর্বশেষ ঐ ঘটনায় বাবলু আলমগীরের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে এমন অপকর্ম করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিলে বিষয়টির মিমাংশা হয়।
তবে এবার কারখানা মালিক বাবলু মজলিশ একই পোল্ট্রী ফার্মের কোল ঘেঁষে মাটি কেটে নেওয়ায় বাঁধা দেয় আলমগীর। সর্বশেষ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে তারা ফের মাটি কর্তন শুরু করলে এতে বাঁধা দেয় আলমগীর। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্-বিতন্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে তারা আলমগীরকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় তার মা যবুনা বেগম (৪৫) ও পিতা আব্দুর রাজ্জাক (৫০) তাদেরকে বাঁধা দিলে বাবলু মজলিশ, তার ভাই গপ্ফার মজলিশসহ অন্যান্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাঠের চলা দিয়ে যবুনা বেগমসহ তার স্বামীকে পিটিয়ে মারাত্নক আহত করে। এতে যবুনার মাথা ফেঁটে যায়।
এসময় তাদের আত্নচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তারা হাসপাতালে থাকায় শেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোন মামলা হয়েছে কিনা তা জানা জায়নি।
প্রসঙ্গত, খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের পাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কথিত টালী কারখানার নামে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোয় ভাটার অবিরাম নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা রীতিমত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এলাকাবাসী এব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।