৬ বছরেও পরিশোধ হয়নি গ্রাচুইটির টাকা মহসেন জুট মিলে চুড়ান্ত পাওনার দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি

0
400

ফুলবাড়ীগেট খুলনা থেকে শেখ বদর উদ্দীন:
খুলনার শিরোমনি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন বন্ধকৃত মহসেন জুট মিলের ছাটাইকৃত শ্রমিক কর্মচারীর গ্রাচুইটির চুড়ান্ত পাওনা দীর্ঘ ৬ বছরেও পরিশোধ হয়নি। মহসেন জুট মিলের ছাটাইকৃত শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনার দাবিতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী শ্রমিক শেখ সুলতান বলেন মহসেন জুট মিলটি একটি লাভ জনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্যেও কৃত্রিম অথর্ সঙ্কট দেখিয়ে মিলটি ২৩ জুন ২০১৩ হইতে ৩৯০ দিন বেআইনি লেঅফ ও এর পরে ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখ এক নোটিশে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের বেআইনি ভাবে ছাটাই করে । শ্রম আইনে ছাটাইয়ের ত্রিশ কর্মদিবসের মধ্যে পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও প্রায় ৬ বছরেও তা পরিশোধ হয়নি। ছাটাইয়ের পর থেকে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে বিভিন্ন টালবাহানা করছে মিল কতৃপক্ষ, কখনও মিল চালানোর প্রতিশ্রæতি ও কখোনও মিল বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করবে বলে তা বাস্তবায়ন হয়নি। যা শুধু শ্রম আইন বিরোধীই নয় মানবাধীকার লঙ্ঘনের শামিল । ইতি মধ্যে অর্থ াভাবে রোগে ভুগে বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে অনেক শ্রমিক ,অনেকের দাফনের জন্যও তার পাওনা টাকা থেকে একটি টাকাও পায়নি বলে অভিযোগ আছে। অনেক শ্রমিক পরিবারে মেধাবী ছেলে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে অর্থাভাবে । সর্বশেষ গত ঈদ উল আযহার পূর্বে মালিক মিল এলাকায় এসে দুইটি কিস্তি ও গড়ে সকলকে চুড়ান্ত বিল পরিশোধের প্রতিশ্রæতি দিলেও উক্ত টাকা না দিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের মাত্র ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বকেয়া পাওনা পরিশোধে এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মিলের দায়িত্বরত কর্মচারীরা। শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনার ব্যাপারে মহসেন জুটমিল ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন মন্টু বলেন মিলটি বিক্রয় প্রক্রিয়া চলতি মাসের ভিতরই চুড়ান্ত হওয়ার পর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মালিকের সাথে আলোচনা করে শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের এখনো পাওনা রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তবে আগামী সপ্তাহের ভিতর চুড়ান্ত ফয়সালা না হলে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে বলে জানিয়েছে। এব্যাপারে নির্বাহী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন ইতি মধ্যেই অর্ধেক শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে বাকী অতি দ্রুতই সকল শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের সর্বচ্চো চেষ্টা চালানো হচ্ছে।