৪৪ বছর পর পাসপোর্ট আইন হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে

0
679

অনলাইন ডেক্স:
দীর্ঘ ৪৪ বছর পর পাসপোর্ট আইন হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ রেখে নতুন পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করছে সরকার। নতুন আইনটি প্রণয়ন হলে একইসঙ্গে এক ব্যক্তি একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। ১৯৭২ সালের দালাল আইনে কিংবা ১৯৭২ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দন্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। মানিলন্ডারিং, মানব পাচার, মুদ্রা পাচার, মাদকদ্রব্য বা অস্ত্র পাচার কিংবা অন্য কোন আইনগত নিষিদ্ধ ব্যবসায় জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ থাকলে তাদের পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। জনস্বার্থে সমীচীন মনে হলে বিদেশী নাগরিক বা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিকে এ আইনের অধীনে পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করা যাবে। আইনটির ওপর জনপ্রশাসন, আইনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি আইনটির খুঁটিনাটি দেখভাল করছেন। শীঘ্রই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ৯নং আদেশে জারি করা বিধিবিধানের আলোকে পাসপোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন থেকে পূর্ণাঙ্গ একটি নতুন আইনের অধীনে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন আইন অনুসারে বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছাড়া কেউ বহির্গমন করতে বা করার চেষ্টা করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তি পাসপোর্ট পাবেন না। পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার যুক্তিযুক্ত প্রমাণ থাকলে পাসপোর্ট পাবেন না। কারও বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলায় উপস্থিতি এড়াতে বা অপরাধের বিচার ও দন্ডে এড়াতে বাংলাদেশ ত্যাগ করার উদ্যোগী হলে তার অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। আদালত দেশ ত্যাগ না করার অথবা আবেদনকারী শিশুকে দেশের বাইরে নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। সরকার কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। এছাড়া আবেদনকারী যদি বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, অখ-তার বিরুদ্ধে কোন কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সরকার যদি গোয়েন্দা রিপোর্টের বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। যদি কোন বিদেশী রাষ্ট্রে আবেদনকারীর অবস্থানের কারণে সে দেশের বা অন্য কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি পাসপোর্ট পাবেন না। এছাড়া আবেদনকারী যদি কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সংগঠনের কিংবা আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। সাধারণ পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট। পাসপোর্ট সর্বাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। পাসপোর্ট আটকের বা প্রত্যাহারের বিধানাবলিতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পাসপোর্টধারী বা ট্রাভেল ডকুমেন্টধারী ব্যক্তিকে কারণ অবহিত করে অথবা শুনানি করে পাসপোর্ট প্রত্যাহার কিংবা আটক করতে পারবে। বেআইনীভাবে পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করলে তা আটক বা প্রত্যাহার করা যাবে। পাসপোর্টে মৌলিক কোন তথ্য গোপন কিংবা মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করলে তা প্রত্যাহার করা যাবে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাছে উল্লেখিত পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোন পাসপোর্ট থাকলেও তা একইভাবে প্রত্যাহার কিংবা আটক করা যাবে। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখ-তার স্বার্থে যে কারও পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা যাবে। কোন ব্যক্তি পাসপোর্ট নেয়ার পর গুরুতর অপরাধ বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালতে ৫ বছরের জন্য দতি হলে তার পাসপোর্ট আটক বা প্রত্যাহার করা যাবে। উপযুক্ত কোন আদালত যদি কারও পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে, তাহলে তার পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা যাবে। পাসপোর্টের কোন শর্ত ভঙ্গ করলে অথবা কর্তৃপক্ষের আদেশ মোতাবেক পাসপোর্ট ফেরত দিতে ব্যর্থ কিংবা অস্বীকৃতি জানালে তার পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা হবে। সরকার কিংবা সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের জন্য যে কারও পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট আটক বা প্রত্যাহার করতে পারবে। কোন ফৌজদারি আদালত কোন অভিযুক্তকে জামিন প্রদানের শর্ত হিসেবে সাময়িকভাবে পাসপোর্ট আটক রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দিলে পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করতে পারবে। প্রত্যাহার করা হলে পাসপোর্টধারী পার্শ্ববর্তী থানা অথবা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাসপোর্ট জমা দেবেন। পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের যে কোন আদেশ নির্দেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপীল করতে পারবেন। ৩০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এ আপীল করতে হবে। আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত কর্মকান্ডের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এ অপরাধের বিচার করা হবে। অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে না পারলে কারণ লিপিবদ্ধ করে ম্যাজিস্ট্রেট আরও সর্বোচ্চ ৬০ কার্যদিবস সময় বাড়াতে পারবেন।

উপ-পরিদর্শক পদমর্যদার যে কোন কর্মকর্তা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তির অথবা দন্ডনীয় অপরাধ করেছেন- এমন ব্যক্তির কাছ থেকে যে কোন সময় যে কোন স্থানে তল্লাশি করে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট আটক বা জব্দ করতে পারবেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বা বহিঃআক্রমণে লিপ্ত দেশ ভ্রমণ করা যাবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহিঃআক্রমণ করছে এমন অন্য কোন দেশকে সহায়তা করছে এসব দেশ ভ্রমণ করা যাবে না। তবে শর্তসাপেক্ষে কোন কোন ব্যক্তিকে এমন দেশেও ভ্রমণের অনুমতি দেয়া যাবে।র্
৪৪ বছর পর পাসপোর্ট আইন হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ রেখে নতুন পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করছে সরকার। নতুন আইনটি প্রণয়ন হলে একইসঙ্গে এক ব্যক্তি একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। ১৯৭২ সালের দালাল আইনে কিংবা ১৯৭২ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দন্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। মানিলন্ডারিং, মানব পাচার, মুদ্রা পাচার, মাদকদ্রব্য বা অস্ত্র পাচার কিংবা অন্য কোন আইনগত নিষিদ্ধ ব্যবসায় জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ থাকলে তাদের পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। জনস্বার্থে সমীচীন মনে হলে বিদেশী নাগরিক বা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিকে এ আইনের অধীনে পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করা যাবে। আইনটির ওপর জনপ্রশাসন, আইনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি আইনটির খুঁটিনাটি দেখভাল করছেন। শীঘ্রই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ৯নং আদেশে জারি করা বিধিবিধানের আলোকে পাসপোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন থেকে পূর্ণাঙ্গ একটি নতুন আইনের অধীনে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন আইন অনুসারে বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছাড়া কেউ বহির্গমন করতে বা করার চেষ্টা করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তি পাসপোর্ট পাবেন না। পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার যুক্তিযুক্ত প্রমাণ থাকলে পাসপোর্ট পাবেন না। কারও বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলায় উপস্থিতি এড়াতে বা অপরাধের বিচার ও দন্ড এড়াতে বাংলাদেশ ত্যাগ করার উদ্যোগী হলে তার অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। আদালত দেশ ত্যাগ না করার অথবা আবেদনকারী শিশুকে দেশের বাইরে নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। সরকার কোন ব্যক্তি বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। এছাড়া আবেদনকারী যদি বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, অখ-তার বিরুদ্ধে কোন কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সরকার যদি গোয়েন্দা রিপোর্টের বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না। যদি কোন বিদেশী রাষ্ট্রে আবেদনকারীর অবস্থানের কারণে সে দেশের বা অন্য কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি পাসপোর্ট পাবেন না। এছাড়া আবেদনকারী যদি কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সংগঠনের কিংবা আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। সাধারণ পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট। পাসপোর্ট সর্বাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। পাসপোর্ট আটকের বা প্রত্যাহারের বিধানাবলিতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পাসপোর্টধারী বা ট্রাভেল ডকুমেন্টধারী ব্যক্তিকে কারণ অবহিত করে অথবা শুনানি করে পাসপোর্ট প্রত্যাহার কিংবা আটক করতে পারবে। বেআইনীভাবে পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করলে তা আটক বা প্রত্যাহার করা যাবে। পাসপোর্টে মৌলিক কোন তথ্য গোপন কিংবা মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করলে তা প্রত্যাহার করা যাবে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাছে উল্লেখিত পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোন পাসপোর্ট থাকলেও তা একইভাবে প্রত্যাহার কিংবা আটক করা যাবে। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখ-তার স্বার্থে যে কারও পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা যাবে। কোন ব্যক্তি পাসপোর্ট নেয়ার পর গুরুতর অপরাধ বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালতে ৫ বছরের জন্য দ-িত হলে তার পাসপোর্ট আটক বা প্রত্যাহার করা যাবে। উপযুক্ত কোন আদালত যদি কারও পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে, তাহলে তার পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা যাবে। পাসপোর্টের কোন শর্ত ভঙ্গ করলে অথবা কর্তৃপক্ষের আদেশ মোতাবেক পাসপোর্ট ফেরত দিতে ব্যর্থ কিংবা অস্বীকৃতি জানালে তার পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করা হবে। সরকার কিংবা সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের জন্য যে কারও পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট আটক বা প্রত্যাহার করতে পারবে। কোন ফৌজদারি আদালত কোন অভিযুক্তকে জামিন প্রদানের শর্ত হিসেবে সাময়িকভাবে পাসপোর্ট আটক রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দিলে পাসপোর্ট আটক কিংবা প্রত্যাহার করতে পারবে। প্রত্যাহার করা হলে পাসপোর্টধারী পার্শ্ববর্তী থানা অথবা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাসপোর্ট জমা দেবেন। পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের যে কোন আদেশ নির্দেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপীল করতে পারবেন। ৩০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এ আপীল করতে হবে। আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত কর্মকান্ডের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এ অপরাধের বিচার করা হবে। অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে না পারলে কারণ লিপিবদ্ধ করে ম্যাজিস্ট্রেট আরও সর্বোচ্চ ৬০ কার্যদিবস সময় বাড়াতে পারবেন।

উপ-পরিদর্শক পদমর্যদার যে কোন কর্মকর্তা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তির অথবা দন্ডনীয় অপরাধ করেছেন- এমন ব্যক্তির কাছ থেকে যে কোন সময় যে কোন স্থানে তল্লাশি করে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট আটক বা জব্দ করতে পারবেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বা বহিঃআক্রমণে লিপ্ত দেশ ভ্রমণ করা যাবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহিঃআক্রমণ করছে এমন অন্য কোন দেশকে সহায়তা করছে এসব দেশ ভ্রমণ করা যাবে না। তবে শর্তসাপেক্ষে কোন কোন ব্যক্তিকে এমন দেশেও ভ্রমণের অনুমতি দেয়া যাবে।